লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় বিএনপির ৫ নেতা-কর্মী গেপ্তার

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নে দলীয় কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

সংঘর্ষে ওই ইউনিয়নের আ’লীগ সভাপতি, একজন কর্মী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আহত হন। তারা বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত ওই ৫জনকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের ঘুন্টি বাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এদিকে এর আগে গত সোমবার বিকেলে উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউপির ঘুন্টিবাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইকুল ইসলাম(৩০), যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল(২৫), বিএনপি কর্মী ফিরোজ নুরুজ্জামান লাল(৩৫), বিপুল(৩০), ফিরোজ(২৮)।

আহতরা হলেন, উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বরকত হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি লিমন ও আ;লীগ কর্মী সিদ্দিক। জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে ডাউয়াবড়ি ইউনিয়ন বিএনপি।

এদিকে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা শান্তি সমাবেশ করেন। এ সময় দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন ওই ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি বরকত হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি লিমন ও আ’লীগ কর্মী সিদ্দিক আহত হন। এ ঘটনায় আ’লীগ সভাপতি বরকত হোসেন বাদী হয়ে ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি বরকত হোসেন বলেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করতেছিলাম। একই সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ তিনজন আহত হই। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, আমার দলের নেতা-কর্মীরা কোন হামলা চালায় নি।

আ’লীগ শান্তি সমাবেশের নামে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এমনকি উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, বিএনপি’র ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে সোমবার বিকেলে জেলহজাতে পাঠানো হয়েছে।