শনিবার থেকে ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা : ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ( বেরোবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছয়টি অনুষদভুক্ত ২১ টি বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষে আগামী শনিবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে।

২৫ নভেম্বর (শনিবার) থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ উপলক্ষে একাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের তিনটি আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এ নিয়ে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হলের শিক্ষার্থীরা।

২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর পরীক্ষা শেষ হলে সেদিন বিকাল চারটার পর হল তিনটি খুলে দেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

তবে এ কয়েকদিন হলের শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবে সে সমাধান মেলেনি প্রশাসনের কাছে। হল বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এমনকি বিষয়টি একটি নিউজ পোর্টালে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে খোলা চিঠি লিখেছেন শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তা ও জালিয়াতি ঠেকাতে এ রকম সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষায় ুর্নীতির সাথে শিক্ষার্থীরা জড়িত নয় বরং এর পেছনে কর্মকর্তা আর দুয়েকজন শিক্ষকই জড়িত থাকে। তারা আরো জানান, যে সিদ্ধান্তে হল তিনটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু শিক্ষক ও কর্মকর্তারে ডরমেটরি খোলাই রয়েছে। বন্ধের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যদি শিক্ষার্থীদের হল বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ডরমেটরিও বন্ধ থাকা উচিৎ। তারা বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই পরীক্ষার অজুহাতে হল বন্ধ করা হয়না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধ নজীরবিহীন ।

তবে হল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্বিবিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর গতকাল এক মুঠোফোনে জানান, ‘হল থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ইউজ করতে পারে। তাই হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরগুলোতে ভর্তি জালিয়াতির বিষয়ে এক শিক্ষকের ব্যাপারে অভিযোগ ও বেশ কিছু কর্মকর্তার জড়িতের বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, যারা অন্যায় করে তাদের বিচার হবে।’

এ দিকে হল বন্ধে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ভর্তিচ্ছুরাও বিপাকে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আশেপাশে আবাসিক হোটেল না থাকা, পাশের মেসগুলোতে মালিকদের শর্ত বেধে দেওয়াসহ থাকার পর্যাপ্ত ব্যস্থা না থাকায় অবর্ণনীয় কষ্টের শিকার হওয়ার আশংকা করেছেন অনেকেই।

তবে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তা ও জালিয়াতি রোধে ভ্রাম্যমান আদালতসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সব সময় প্রস্তুত থাকবেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।