শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশ ২৫ বছর এগিয়ে যাবে : সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে আরও উন্নয়ন হবে, দেশ ২৫ বছর এগিয়ে যাবে।সেলিম ওসমান না এলে কিছু যাবে-আসবে না।

শুক্রবার বিকালে বন্দরের ময়মনসিংপট্টিতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেলিম ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাতে ক্ষমতায় আসে সে জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। আমার মার্কা লাঙ্গল নাকি নৌকা হবে তা ঠিক করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে মার্কা দেবেন আমি সেই মার্কায়ই নির্বাচন করব। আপনাদের দোয়া এবং ভোট পেলে আগামী ৫ বছর আবার আপনাদের গোলামি করে যাব।

তিনি মেয়র আইভীর নাম উল্লেখ না করে বলেন, আমার ছোট বোনের কাছে আবারও অনুরোধ, আসুন অতীতের সব তিক্ততা ভুলে একমঞ্চে বসে সবাইকে নিয়ে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহেরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাতজন ইউপি চেয়ারম্যান ও ৯ জন কাউন্সিলর ছাড়াও রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এমপি বলেন, আমি ওমরা করতে যাওয়ার আগে তিনজনকে সালাম করে গিয়েছি। আমি আপাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলেছি, নির্বাচন করব নাকি করব না? আপা বলেছেন, পুরোটাই তোমার ইচ্ছা। আমি বিরোধীদলীয় নেত্রীর (রওশন এরশাদ) পায়ে সালাম করে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, তোমাকে আগে কেন আমি পেলাম না? তুমি নির্বাচন কর। আমি পার্টির চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করেছি, নির্বাচন করব নাকি অন্য কাউরে দিয়ে করাবেন চিন্তা করেছেন? তিনি উত্তরে বললেন, তোমাকেই নারায়ণগঞ্জের মানুষ চায়। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি মানে ওসমান লীগ কিংবা ওসমান পার্টি।

এ সময় সেলিম ওসমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, এত ব্যানার-পোস্টার লাগবে না। কেবল প্রতিটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইতে পারলেই আমি নির্বাচিত হব। এত মাইক, বাদ্যযন্ত্র লাগে না। নারায়ণগঞ্জে যুদ্ধ হবে না। যার যার ভোট তার তার মতো দেবে।

সেলিম ওসমান বলেন, মানুষের এক দফা, এক দাবি, সেলিম ওসমান নির্বাচন করবে এমন ঘোষণা দিতে হবে। তাই আমি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলাম।

তিনি ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, দেশের স্বার্থে নির্বাচনে আসুন দেখি জনগণ আপনাদের কতটুকু চায়। উপজেলা চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা, ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের প্রতি আমি ঋণী।

সেলিম ওসমান নিজের আত্মসমালোচনা করে বলেন, আমি অত্যন্ত স্বার্থপর, আমি আপনাদের কিছুই দিতে পারি নাই। আমার ভাইয়ের পর আমি সংসদ সদস্য হয়েছি। রাজনৈতিক কারণে আমার ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুকুল আমাকে ছয় মাস সহযোগিতা করতে পারে নাই। তাই আমি সাড়ে ৪ বছর নয়, সাড়ে ৩ বছর কাজ করতে পেরেছি।

জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু জাহেরের সভাপতিত্বে ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সেলিম ওসমানের সহধর্মিণী নাসরিন ওসমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, নাসিক ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আসম সানি প্রমুখ।