নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় ৯নং ওয়ার্ডে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের আলোচিত বজলুর মেম্বারের ৯নং ওয়ার্ড চনপাড়ায় উপ-নির্বাচনে চলছে ভোট গ্রহণ। সকাল ৮ টা থেকে ইভিএমে শুরু হয় ভোট গ্রহন কার্যক্রম, চলবে বিকাল ৪ টা অব্দি। নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা প্রতিরোধে কড়া নজরধারীতে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহীনি।

প্রশাসনের এমন উদ্যোগে উৎসবমুখর নির্বাচনী আয়োজনে সন্তুষ্ট ভোটাররা। আর সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল ভোটারদের সরব উপস্থিতি।

সকাল ১০ পর টানা ২ ঘন্টা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ভোটগ্রহনে কিছুটা ধীরগতি ছিল । তবে এ সংবাদ লেখা অব্দি (দুপুর ১টা) প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার তাজাল্লি ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে। শান্তিপুর্ণ ভাবে সকাল থেকে চলছে ভোট গ্রহন । যেহেতু ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে তাই প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের বলা আছে নির্বাচন শেষ হলে স্ব-স্ব কেন্দ্রেই যেন ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরে সকল কেন্দ্রের মোট রেজাল্ট উপজেলা থেকে সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রে মহিলা ভোটার ১১৫৩১, পুরুষ ভোটার ১০৪৭৫ এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের ১জনসহ মোট ভোটার ২২০০৭ জন ।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল হক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে এই ওয়ার্ডের ১০টি ভোট কেন্দ্রে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ প্লাটুন বিজিবি, ২ টি র‍্যাব টিম, ২৪৫ জন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরো বলেন, বিগত দিনেও ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবারও একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো বলে মনে করি।’

উল্লেখ্য, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর হত্যা মামলার তদন্তে নেমে রাব-১ এর অভিযানে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২২ সালের ১৮ নভেম্বর বজলুর রহমানকে গ্রেফতার হয়। পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ৩১ মার্চ সন্ধ্যা মারা যান তিনি। এরপর ওই ওয়ার্ডের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

এ উপ-নির্বাচনে দলীয় কোন প্রার্থী না থাকায় ১৬জন প্রার্থী প্রতিধন্ধীতা করছেন। সকলেই নিজেদের যোগ্য হিসেবে ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সকল প্রার্থীই বাড়ি-বাড়ি ঘুড়েছেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও প্রার্থীদের অধিকাংশই হত্যা, হত্যা চেষ্টা ও মাদকসহ একাধিক মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামী।