সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার : ফখরুল

বিএনপির শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সরকার সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে জনসভার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এজন্য আমরা কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অতর্কিতভাবে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা করেছে।

হামলায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। সাড়ে ১০টার সময় সড়কে কালো পতাকা নিয়ে নেতাকর্মীরা বসে পড়লে তাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। তাদেরকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। জলকামান থেকে রঙিন পানিও ছোড়া হয়।

কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান ফখরুল।

তার অভিযোগ, বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ প্রমাণ করল দেশ দুঃশাসনের করাল গ্রাসে।

মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ বেপরোয়াভাবে নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ এবং টেনে-হিঁচড়ে ভ্যানে তুলতে শুরু করে।

এর আগে বেলা ১১টায় বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি শুরুর আগেই দলটির কার্যালয় ঘিরে জলকামান ও সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকশ কর্মী কার্যালয়ের সামনে সড়কে কালো পতাকা নিয়ে বসে পড়লে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।

লাঠিপেটায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজূলুল হক মিলন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী ও সাবেক সংসদ সদস্য নীলোফার চৌধুরী মনিসহ কয়েকজন আহত হন।

এসময় জলকামান থেকে রঙিন পানিও ছুড়তে থাকে পুলিশ, যাতে আক্রান্ত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।

কর্মসূচি থেকে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে জেল দেন।

রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন। রায়ের দিন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত তিনি কারাগারেই আছেন।