সন্তান কার জানে না বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মা, দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

অন্তঃসত্ত্বা হয়ে প্রায় তিনমাস ধরে বাজারের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী অবশেষে কন্যা সন্তানের মা হলেন। রোববার মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কন্যা সন্তানের জন্ম হয় । তবে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর জানে না ওই কন্যা সন্তানের বাবাকে? কিবা তার পরিচয়? এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ এর নির্দেশে সহকারি কমিশনার ভূমি উম্মে সালমা মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী কন্যা সন্তানটিকে দেখতে মদন হাসপাতালে যান এবং তার খোঁজ খবর নেন। এর আগে মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ ওই তরুণীর এমন সংবাদ শুনে তার গ্রামের বাড়ি খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসাসহ সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এলাকাবাসী জানান,ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে প্রায় তিনমাস ধরে বাজারের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানার সময় আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খবর পেয়ে বিষয়টি মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। এমন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী তার গ্রামে বাড়ি পাঠায় এবং তার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইউএনও বুলবুল আহমেদ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ এর নির্দেশে একজন গর্ভবতী মাকে যা যা চিকিৎসা দেওয়া লাগে সব দিয়ে জানতে পারে মেয়েটির মা নিজেও একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বাবা বেঁচে নেই। ভাই বোন কেউ নেই। স্বজন বলতে রিকশা চালক একজন মামা আছেন। যার রোজগার দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিবারটি।

সহকারি কমিশনার ভূমি উম্মে সালমা জানান, ইউএনও স্যার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আমাকে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর সন্তান হয়েছে খবর পেয়ে তাকে দেখার জন্য আমাকে বলেন। আমি হাসপাতালে ফুটফুটে তার কন্যা সন্তানটি দেখে এসেছি এবং তারা ভাল আছে। তাদের ব্যয়ভার উপজেলা প্রশাসন বহন করছে।

মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাঈম আহমেদ রিয়াদ জানান,গতকাল তার কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে। মা ও মেয়ে ভালই আছে।

মদন উপজেলার নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ মোবাইল ফোনে জানান, গত ১৫দিন আগে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি মদনে ওই ভারসাম্যহীন কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা । বিষয়টি জেনে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষাসহ সকল দায়িত্ব নিয়েছি। রোববার তার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। তার পরিবারে মা আছে তিনিও প্রতিবন্ধী। সংসারটি দেখার কেউ নেই। তবে অনেকেই বাচ্চাটিকে দত্ত¡ক নিতে চাচ্ছেন। দত্ত¡ক বিষয়টিতো হচ্ছে আইনের বিষয়। তাই পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাকে দেখা শোনা করার জন্য আপাতত এক নারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।