সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশ

গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় আইন করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতারা। সেই সঙ্গে সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় আয়োজিত সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশ শীর্ষক এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলমের সঞ্চলনায় এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারী, নির্যাতনকারীদের দৃষ্টামূলক শাস্তি দাবি করছি। সেই সঙ্গে যেসব গণমাধ্যমকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে আমরা শিগগির মন্ত্রীর কাছে স্বারক লিপি দেব।

তিনি বলেন, প্রথম থেকে সরকার পদক্ষেপ নিলে তারা (হেফাজতে ইসলাম) এত বাড়াবাড়ি করতে পারতো না। বায়তুল মোকাররম মসজিদের মতো জায়গায় কীভাবে ইট-পাথর ঢোকে! আমি মনে করি, এখানে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা ছিল; যদি ওখানে বড় কিছু ঘটে যেত। ছাত্রলীগ মাঠে নামার কারণে তেমন কিছু ঘটেনি। আমি এ জন্য ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানায়।

তিনি আরও বলেন, দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পুষলে ছোবল মারবেই। এরা (হেফাজতে ইসলাম) বাংলাদেশকে মানে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করে না।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সংবাদকর্মীদের ওপর যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা আলবদরদের কথা মনে করিয়ে দেয়। যারা সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা দেবে, শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে। আমাদের গণমাধ্যমকর্মীরা করোনার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো গণমাধ্যমকর্মীর কিছু হলে তার সকল দায়-দায়িত্ব মালিক পক্ষকে নিতে হবে।