সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে খাবার পানির উৎসকে বাঁচাতে যুব নারীরা সংস্কার করলো বাঁধ

খাবার পানির উৎসকে বাঁচাতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ওয়াবদা স্লুইস গেটের ৩০ ফুট বাঁধ সংস্কার করলো যুব নারীরা। শনিবার (২৯ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের ৩৫ জন নারী সদস্য এই বাঁধ সংস্কারের কাজ করেন।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কালিগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে নদীর লোনা পানি প্রবেশ করেছে। যার কারণে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পুকুরে লোনা পানি প্রবেশ করে পানি খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে গেছে। এরই মধ্যে কালিগঞ্জের গেটের পাশে প্রায় ৩০ ফুট জায়গায় ভাঙন ধরে। সেটি পুরো ভেঙে গেলে তলিয়ে যাবে উপজেলার ৭ টি গ্রাম। এছাড়া তলিয়ে যাবে ২০ হাজার মানুষের একমাত্র পানির উৎস ওয়াবদা পুকুর।

সম্প্রতি পানি সংকটের সময় এই পুকুরে একেবারে পানি শুকিয়ে যায়। যার ফলে সদরের কয়েকটি গ্রামে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছিলো। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাতে খাবার মত সামান্য পানি সঞ্চয় হয়েছে। নারীরা মনে করেন এই পুকুরে যদি লোনা পানি প্রবেশ করে তাহলে জীবনে দুর্বিষসহ বিপদ নেমে আসবে। তার কারণ এই পুকুর ছাড়া কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কোন খাওয়ার পানির পুকুর নেই। তাই তারা পানির উৎসকে বাঁচাতে মাঠে নেমেছেন বলে জানান।

নারী উন্নয়ন সংগঠন বিন্দুর সভাপতি জাকিয়া রাজিয়া বলেন, আমরা যারা কাজ করছি তারা কোন দিন মাটির কাজ করিনি। কিন্তু আজ যেহেতু পানির উৎসকে বাঁচাতে হবে সেহেতু ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। এটি সংস্কার না করলে বাঁধ ভেঙে বহু গ্রাম ভেসে যেত।

সংগঠনের পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া বলেন, আমরা এক রকম নিরুপায় হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমরা কাজ করে এটা সংস্কার করেছি। আসলে বড় বড় ভাঙনের কারনে এটিকে কেউ গুরুত্ব দেইনি। পুরো ভেঙে গেলে তার পর হাহাকার করতো। যেহেতু কেউ এগিয়ে আসেনি এখনো পর্যন্ত তাই আমরাই নেমে পড়েছি। আমরা এটা প্রমাণ করলাম নারীরা কোন কাজে পিছিয়ে নেই।

উল্লেখ্য সংগঠনটি একটি যুব নারী বাদি সংগঠন। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে সাতক্ষীরার দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে এবং প্রতি সপ্তাহে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে আন্দোলন করছে সংগঠনটি।