সাতক্ষীরায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের মানববন্ধন

সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের শহীদ স্মৃতি কলেজের শিক্ষাদস্যু ও দূর্ণীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের বিচারের দাবী ও ২ জন নিরীহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে ওই কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

রোববার (১৭ জুলাই) সকাল ১১ টায় শহীদ স্মৃতি কলেজের চত্ত¡রে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটে সভাপতিত্ব করেন ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ দীপক কুমার মল্লিক।

সহকারী অধ্যাপক তপন কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন ওই কলেজের সহ-অধ্যাপক অমিত চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকে নানাবিধ অনিয়ম, দূর্ণীতি এবং নিয়োগ বানিজ্য করে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের সকল শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে সমুদয় টাকা কলেজ ফান্ডে জমাদানের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এবং দাবি জানিয়ে আসছেন।

কিন্তু তিনি শিক্ষকদের ন্যায় সঙ্গত দাবি না মেনে ধারাবাহিকভাবে সুকৌশলে নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ কলেজের দুইজন ল্যাবসহকারি নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার একটি টাকাও তিনি কলেজে দেননি।

এদিকে গত ২১ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে দুইজন সন্ত্রাসী অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানকে গুলি করেন। তবে তিনি তাদেরকে চিনতে পারেননি। অথচ গত ২৯জুন সহ-অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রহিম ও সহ-অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে সন্দেহ হয় মর্মে থানায় একটি মামলা করেছেন। যেটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। নিজের দূর্ণীতি ঢাকতে অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান আমাদের সহকর্মী আব্দুর রহিম ও মনিরুজ্জামানকে হয়রানি করতে থানায় ওই মামলা করেছেন।

অধ্যক্ষকে যারা গুলি করেছেন আমরা তাদেরও শাস্তি চায়। তাদের শনাক্ত করতে আমরা প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। তবে কোন নিরীহ মানুষ অধ্যক্ষের রোষানলে পড়ে হয়রানি হোক আমরা সেটি কখনও মেনে নেবনা। আমরা অত্র কলেজের অধ্যক্ষের এহেন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডের ধিক্কার, নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে আব্দুর রহিম ও মনিরুজ্জামানের নাম জড়িয়ে যে মামলা করেছেন সেটি প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।