সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক

বেসরকারি খাতের ভালো ব্যাংকের তালিকায় থাকা সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে দুর্বল বেসিক ব্যাংক। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।

সোমবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, স্বেচ্ছায় কোনো ব্যাংক একীভূত হলে সমস্যা নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের।

তিনি আরও বলেন, মার্চ পর্যন্ত লক্ষ্য অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংকগুলো নির্দিষ্ট সূচক অর্জন করতে না পারলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণে বাধ্য করবে।

এছাড়া সিটি ও বেসিক ব্যাংক মার্জার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান মেজবাউল হক। তিনি বলেন, এটি হলে বেসরকারি খাতের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে একীভূত হবে বেসিক ব্যাংক।

এর আগে বেসরকারি খাতের শরিয়াভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে নাজুক পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। এর আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সর্বশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে ব্যাংকে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।