সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হবে : ফখরুল

দেশে অবাধ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা না গেলে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে দেওয়া বিএনপির ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি। ইফতারে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ৩৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কূটনীতিকরা। ইফতারের আগে উপস্থিত অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের পক্ষ থেকে আপনাদের রমজানের ইফতারে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত যে, আজকে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি আপনারা উপলব্ধি করছেন। আজ বেগম জিয়া পরিত্যক্ত জেলখানার চার দেয়ালের মধ্যে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছেন। একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলায় বিনাদোষে কারাবন্দি হয়ে সুবিচার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বৈশ্বিক যুগে বর্তমান অবস্থা আমাদের বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করছি। তবে আমরা বুঝি যে, আমাদের যে সংগ্রাম সেটা আমাদের নিজেদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা যদি দেশে অবাধ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।

ইফতারে কূটনৈতিক কোরের ডিন ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জ কোচেরি, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা, চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুও, সৌদি আরবের উপরাষ্ট্রদূত আমির বিন ওমর বিন সালেম, কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া প্রিফনটেইন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবালেত, প্যালেস্টাইনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসেফ রামাডান, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারেটা কুলিনারে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, ভুটান, ইরান, মরক্কো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কূটনীতিকরা ইফতারে অংশ নেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর নাসির উদ্দিন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম আকবর খন্দকার, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুল কাইয়ুম, এনামুল হক চৌধুরী, একরামুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, নওশাদ জমির, ফাহিমা মুন্নী, রুমিন ফারহানা, নজরুল ইসলাম আজাদ, জেবা খান, তাবিথ আউয়াল, বেবী নাজনীন, মীর হেলালউদ্দিন, শাহ মো. নেসারুল হক ইফতারে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ কামাল উদ্দিন, মাহবুবউল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব হেমায়েত উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, অধ্যাপক সাহিদুজ্জামান, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তাজুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ফেরদৌস আরা, নাসির উদ্দিন বখতিয়ার, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

ইফতারের আগে কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য লাভসহ দেশে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।