মনুয়াকে স্বামীর চিৎকার শোনাতে যে কাজটি করে অজিত
অনুপমকে মারতে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছিল অজিত। সে ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট ফোনে শুনেছিল মনুয়া। এ তথ্য আগেই দিয়েছে পুলিশ। তবে এবার যা জানা যাচ্ছে তা আরও রোমহর্ষক। মনুয়াকে তার স্বামীর আর্তনাদ শোনানোর জন্য লোহার রডটি অনুপমের মুখে ঢুকিয়ে খোঁচায় অজিত। তার পর হাতের শিরা কেটে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। বারাসতের লাইভ মার্ডার কাণ্ড-র তদন্ত যত এগোচ্ছে এমনই আরও হাড় হিম করা তথ্য উঠে আসছে। যা শুনে সাধারণ মানুষ তো বটেই, দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অজিত জানিয়েছে, সুপারি কিলারকে নিয়ে ঘরের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে ছিল সে। অনুপম ঢুকতেই অতর্কিতে হামলা চালায়। রডের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনুপম। মুখ থেকে অস্ফুট শব্দ বেরিয়ে আসে। অজিতের ফোন থেকে গোটা ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট শুনছিল অনুপমের স্ত্রী মনুয়া। তবে সেই অস্ফুট চিৎকার তার কানে যায়নি।
অজিতকে সে বলে, চেঁচাচ্ছে না কেন? তারপর স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিজেই নির্দেশ দেয় মনুয়া। তার কথামতো লোহার রডটি অনুপমের মুখে ঢুকিয়ে খোঁচাতে শুরু করে অজিত। যন্ত্রণায় শেষবারের মতো একবার আর্তচিৎকার করে অনুমপ। সেই চিৎকার শুনে শিওর হয় মনুয়া। তারপর অনুপমের হাতের শিরা কেটে শেষ কোপটা মারে অজিত। পুরো ঘটনাটা ফোনে শোনার সময় একবারও গলা কাঁপেনি মনুয়ার। জেরায় ভেঙে পড়ে অজিত পুলিশকে একথা জানিয়েছে। অজিতই জানিয়েছে, সে ছাড়াও একাধিক পুরুষ সঙ্গী আছে মনুয়ার। হৃদয়পুরের অনুপমের প্রতিবেশীরাও একই কথা বলছেন। ফি দুপুরে নিজের স্কুটির পিছনে বসিয়ে এক-একদিন এক-একজনকে বাড়িতে নিয়ে আসত ওই গৃহবধূ।
অনুপম বাড়ি ফেরার আগে তারা চলে যেত। রাজনৈতিক উপর মহলে চেনাজানা থাকার সুবাদে মনুয়াকে ঘাঁটাতেন না প্রতিবেশীরা। তবে সম্প্রতি ফুর্তির মাত্রা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। দিনদুপুরেই মদ্যপান করে হইহুল্লোড় করত মনুয়ারা। সেই আওয়াজেই অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করার কথা ভেবেছিলেন প্রতিবেশীরা। তবে প্রয়োজন হয়নি। তার আগেই জেলে চলে গেল মনুয়া। বাপের বাড়ির পাড়াতেও মনুয়ার রেপুটেশন একই। বিয়ের আগেও সারাদিনই বিভিন্ন পুরুষসঙ্গী নিয়ে স্কুটিতে চড়ে বেড়াত। অন্ধকার, নির্জন অলি-গলিতেই তার বেশি বিচরণ ছিল। গত ২২ জানুয়ারি ঘটা করে প্রথম বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছিল মনুয়া ও অনুপমের। পাড়া প্রতিবেশীরা সেদিন মনুয়াকে দেখে কেউ ভাবতেই পারেননি চার মাসের মাথায় এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাবে সে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন