কুষ্টিয়ায় প্রবাসী হত্যার আরেক আসামিও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি বন্দুকযুদ্ধে নিহত আনোয়ার হোসেন (২৭) কুমারখালীর প্রবাসী যুবক রাকিবুল হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি।
শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাজ এলাকার গড়াই নদীর পাড়ে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। আনোয়ার হোসেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নগর শাওতা গ্রামের আসমত আলীর ছেলে।
এরআগে ১৩ অক্টোবর একই হত্যা মামলার আরেক অাসামি সন্ত্রাসী শাহীন (৩০) কুষ্টিয়ার কুমারখালীতেই ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেকের ভাষ্য, প্রবাসী রাকিবুল হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ার হোসেনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধবাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার নিজ বাড়ি থেকে প্রবাসী রাকিবুল হত্যাকাণ্ডে ব্যাবহৃত দড়ি, রক্তমাখা গেঞ্জি এবং বস্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
রাতে আসামি আনোয়ারকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রবাসী রাকিবুল হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং রাকিবুল হত্যায় জড়িত বাকি আসামিরা জয়নাবাজ এলাকায় অবস্থান করছে বলে পুলিশকে জানায়।
আনোয়ারের দেয়া তথ্যনুযায়ী তাকে নিয়ে মামলার অন্য আসামিদের ধরতে কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাজ এলাকার গড়াই নদীর পাড়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে।
বন্দুকযুদ্ধের সময় আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কুমারখালী থানার এসআই রাজিব আল রশিদ, এএসআই জিহাদ আলী, কনস্টেবল পরাগ বুলবুল ও কনস্টেবল ফিরোজ হোসেন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তুল, ২ রাউন্ড গুলি ও ২টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন