ভারতে গণধর্ষণের শিকার সেই টিকটকারসহ ৫ তরুণী বেনাপোলে হস্তান্তর

চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে গণধর্ষণের শিকার টিকটক তারকাকে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
ওই টিকটকার তরুণীর বাড়ি নরসিংদী জেলায়।

ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে তাকে প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে বেঙ্গালুরে নেয়া হয়। এরপর তাকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ ৭ জনকে আটক করে।

রবিবার তাকে বেনাপোল দিয়ে হস্তান্তর করা হলে বেনাপোল পোর্ট থানা হেফাজত থেকে হাতিরঝিল থানার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা নিয়ে যায়।

এদিকে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া আরও ৪ বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধারের পর বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় প্রত্যাবাসন আইনে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এদের পোর্ট থানা পুলিশের কাছ থেকে তাদের আইনী সহয়তা দিতে গ্রহণ করেছে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে বাংলাদেশি একটি এনজিও সংস্থা।
ফেরত আসা তরুণীরা হলেন, কিশোরগঞ্জের কুসুম আক্তার, ঝালকাঠির সুলতানা পারভিন, পিরোজপুরের তানজিলা তন্নী ও নরসিংদির রতনা খাতুন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মো. রাজু জানান, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে ৫ তরুণীকে এনজিও সংস্থা জাস্টিজ এন্ড কেয়ারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জাস্টিস এন্ড কেয়ারের যশোর শাখা অফিসের সিনিয়ার প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন জানান, ভালো কাজের কথা বলে দালালরা ভারতে নিয়ে নানান ঝুঁকিমূলক কাজে এসব তরুণীদের ব্যবহার করতো। অভিযোগ পেয়ে সেখান থেকে ভারতীয় পুলিশের সহযোগীতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। ফেরত আসা এসব বাংলাদেশিদের আইনী সহয়তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করবেন এনজিও সংস্থা।