যবিপ্রবিতে টবে বেড়ে উঠেছে গাঁজা গাছ, জানে না কর্তৃপক্ষ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) শরীরচর্চা দপ্তরের শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের ফুলের টব থেকে ৪-৫ টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। জিমনেসিয়ামের প্রবেশপথে থাকা টবের মধ্যে একাধিক গাঁজা গাছের চারা আছে এমন খবর পেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে গাঁজার চারাগুলো উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের সামনে ‘আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এর উদ্বোধন করার সময় গাছগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে leafsanp app এর মাধ্যমে গাছগুলোকে শনাক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান চারাগুলো টব থেকে তুলে প্রক্টর অফিসে সংরক্ষণ করেন।
শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামে শরীরচর্চা দপ্তরে রাখা টবে কলাগাছের সাথে বেড়ে উঠেছে ঐ গাছগুলো। একাধিক ব্যক্তি সূত্রেও জানা যায়, এটি মূলত গাঁজা গাছের চারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দপ্তরে থাকা টবের মধ্যে মাদকদ্রব্যের গাছ পাওয়ার বিষয়টি ভালো কিছু নয়। এটি শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিপদসংকেত।
এবিষয়ে প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, ভিসি স্যারের নির্দেশে চারা গুলো আমি নিজেই সংরক্ষণ করেছি। চারাগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের ল্যাব থেকে পরীক্ষা করে তারপর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো আসলে ওগুলো গাঁজার গাছ কিনা।
এবিষয়ে যবিপ্রবির শরীরচর্চা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, টবে কি গাছ রয়েছে সেটা আমরা এখনো জানিনা। যে টবের মধ্যে গাছগুলো পাওয়া গিয়েছে সে টবগুলো আমাদের দপ্তরের না। গত আগস্ট মাসে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের অনুষ্ঠানের সময়ে কর্তৃপক্ষ ডেকোরেশনের জন্য টবগুলো আমাদের দপ্তরের সামনে রেখেছিলো। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে টবগুলোতে কিছু কলা গাছের চারা ছিলো তাই ওগুলো খেয়াল করা হয়নি। এখন এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও উপাচার্যের সাথে অফিসিয়ালি মিটিং করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন