রাঙ্গামাটিতে জলাতঙ্কের টিকাদান কর্মসূচি

রাঙ্গামাটিতে গত এক সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে অন্তত ৬৫ জন মানুষ।

রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগ থেকে ৬৫ জন রোগী ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে কুকুরের জলাতঙ্কের গণটিকাদান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনকে কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে রাজধানী থেকে অভয়ারণ্য বাংলাদেশ প্রাণিকল্যাণ সংস্থার ছয় জনের একটি দল বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে টিকাদানের কাজ করছেন।

৩০০ জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সিভিল সার্জনের হাতে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অভয়ারণ্য এই কর্মসূচি শুরু করে।

রাঙ্গামাটি শহর এবং এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রতিদিন টিকা দেবেন তারা। এ পর্যায়ে অন্তত ৫০০টি কুকুরের টিকা দিতে চায় টিম অভয়ারণ্য।

এ ব্যপারে অভয়ারণ্যের নির্বাহী পরিচালক কাওসার শাকিল বলেন, যে কোনো দুর্যোগের পর জলাতঙ্কের ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা এখন গোটা দেশব্যাপী। জলাতঙ্ক এমনিতেই অবহেলিত একটি ইস্যু। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে জলাতঙ্ক প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম মোটামুটি স্থগিত হয়েই আছে। আশা করি খুব অচিরেই এই অবস্থার অবসান ঘটবে।

টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের কর্ম পরিকল্পনা গুছিয়ে এনেছি আমরা। এধরণের প্রশাসনিক উৎসাহ এবং সহযোগিতা পেলে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।