বৃহস্পতিবার পায়রা বন্দরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকাল ১০ টায় গনভবন থেকে ভার্চুয়ালি সরাসরি যুক্ত হয়ে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। এর মধ্যে দেশের বৃহত্তম ড্রেজিং প্রকল্প ও নির্মাণাধীন প্রথম টার্মিনাল প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। তাই বন্দরকে ঘিরে এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পায়রা বন্দরকে ঘিরে জাগরিত হবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি।

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে পায়রা বন্দরের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ১৩ আগষ্ট সমুদ্র বন্দরটিতে প্রথম বারের মতো কন্টেইনার জাহাজ খালাসের মধ্যদিয়ে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৪ হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার লালুয়ায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। এই টার্মিনালের কাজ শেষ হলে তিনটি জেটিতে একযোগে তিনটি বিদেশি কনটেইনার বা বাল্ক কার্গোবাহী জাহাজ এসে নোঙ্গর করতে পারবে। এছাড়া রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ঠিক রাখার জন্য ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বৃহত্তম একটি ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই ড্রেজিং কাজ শেষ হলে বন্দর থেকে সাগরের অভ্যন্তরে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থ ও ১০.৫ মিটারের গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে। এর ফলে বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা ৩ হাজার কনটেইনারবাহী জাহাজ নোঙ্গর করা সম্ভব হবে।

দেশের এই বৃহত্তম ড্রেজিং ও প্রথম টার্মিনাল প্রকল্প ছাড়াও আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী বন্দর সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদের উপর ১ দশমিক ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের একটি সেতু ও ছয় লেন বিশিষ্ট সড়কের নির্মাণ কাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন। এছাড়া কার্গো অপারেশনের জন্য দুটি টাগ বোট, একটি বয়ালেয়িং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট, দুটি নিরাপত্তা টহল জলযান ও দুটি পাইলট বোটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মো. সোহায়েল জানান, ইতোমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৩৬ টি সমুদ্রগামী জাহাজ খালাসের মাধ্যমে ৫৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। পায়রা বন্দর পরিপূর্ন সক্ষমতায় আসলে দেশের বৈদেশিক বানিজ্যে যোগ করবে নতুন এক মাত্রা।