রজনীকান্তকে সাবধান করে দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা

নিজে ঠেকে শিখেছেন। তাই রাজনীতিতে আসা নিয়ে সহকর্মী রজনীকান্তকে সাবধান করে দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সময় বুঝে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন বলে সম্প্রতি অনুরাগীদের জানিয়েছিলেন সুপারস্টার রজনী। সে খবর কানে যেতেই আগ বাড়িয়ে পরামর্শ দিতে এসেছেন ‘‌বিহারীবাবু।’‌

বৃহস্পতিবার ‘‌তালাইভা’‌র উদ্দেশ্যে পরপর বেশ কয়েকটি টুইট করেন তিনি। তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে লেখেন, ‘‌তামিলনাড়ুর টাইটানিক নায়ক, দেশের প্রিয় সন্তান রজনীকান্ত!‌ উঠুন, উঠুন, উঠুন। এটাই মাথা তুলে দাঁড়ানোর সঠিক সময়। দেশবাসী উৎকণ্ঠায় ভুগছেন। ভাবছেন, কখন আপনি রাজনীতির ময়দানে পা রাখবেন। গঠনমূলক কাজে হাত লাগাবেন। যাতে দেশবাসীর ভবিষ্যত সঠিক দিশা পায়।’‌

রজনী রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করতে বিভিন্ন দল তাকে স্বাগত জানিয়েছে। শত্রুঘ্নর বিজেপিই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে। তা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে হাসি–মস্করা চলছেই। অনেকেরই মতে, রজনীকান্ত কোনও দলে যোগ দেবেন কী, বিজেপি–সহ রাজনৈতিক দলগুলি বরং তার ছত্রচ্ছায়ায় এলে বর্তে যাবে। তাতে সুর মিলিয়েছেন শত্রুঘ্নও।

রজনীকে তার বার্তা, ‘‌মানুষ আপনার পাশে আছে। যে কোনও মূল্যে তারকা রজনীর সংস্পর্শে আসতে চান তারা। তাই অন্য কোথাও যোগ দেওয়ার চেয়ে নিজে মাথা তুলে দাঁড়ান। লোক যেচে আসবে। আশা করি পরিবার এবং কাছের মানুষজনের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন। তবে যত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেন, ততই মঙ্গল। আমি ভরসার যোগ্য। চাইলে আমার পরামর্শও নিতে পারেন।’‌

রজনীকান্তকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়ে তার কোটি কোটি অনুরাগীর সুরেই সুর মিলিয়েছেন শত্রুঘ্ন। তবে এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিজেপি সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও, দলের সমালোচনা করতে কখনও পিছু হটেন না তিনি। যে কারণে দলে তার অবস্থা টালমাটাল। দীর্ঘদিন দলের হয়ে ঘাম ঝরালেও, উঠতি নেতারাও আজকাল তাকে রেয়াত করে না।

দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের হয়ে এক সপ্তাহ আগে মুখ খুলছিলেন বলে চরম মূল্য চোকাতে হয়েছিল। কোটি কোটি মানুষের সামনে, টুইটারে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছিলেন সুশীল মোদি। তাই যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করে রজনীকান্তকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন তিনি। অনুরাগীদের কাছে সুপারস্টার। রাজনীতির কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে তার গায়ে ছিটে লাগতেই পারে। তাই আগে থেকে সাবধান করে দিয়েছেন শত্রুঘ্ন।