কাঁঠালের ওজন আড়াই কেজি, কিন্তু দাম ১০ লাখ টাকা!‌

ফলের জগতে কোন দিনই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি কাঁঠাল। ‌ অনেকের হজমেরও সমস্যা হয় কাঁঠাল খেলে। গোটা কাঁঠাল খাওয়ার ঘটনা গল্প বা উপন্যাসেই পাওয়া যায়। তবে ভারতের কর্নাটকের এক চাষীর গল্প শুনলে অবশ্য কাঁঠাল নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে বস্তে হবে।

কর্নাটকের টুমাকুরু জেলার ছিল্লুর গ্রামে এসএস পরমেশার বাগানে একটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। সাধারণ কাঁঠালের গড় ওজন যেখানে ১০ থেকে ২০ কিলোগ্রাম হয়, পরমেশারের বাগানের কাঁঠালের ওজন বড় জোর আড়াই কিলোগ্রাম হবে। ছোট কাঁঠাল, তাই বিক্রি না করে বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয়দের উপহার দেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাঁঠাল চেয়ে আবদারও করেন। খুশি মনে সে আবদার মেটান পরমেশা।

আর সেই আবদারের কাঁঠালই তাকে বছরে ১০ লক্ষ টাকা উপার্জনের সুযোগ করে দিল। সম্প্রতি পরমেশার সঙ্গে ভারতীয় উদ্যানপালন গবেষণা সংস্থা (‌আইআইএইচআর)‌ মউ স্বাক্ষর করেছে।

তিনি সেই বিশেষ জাতের কাঁঠালের চারা তৈরি করবেন। আর সেই কাঁঠাল চারা নিজেদের ব্রান্ডে বিক্রি করবে আইআইএইচআর। বিক্রি বাবদ অর্থের ৭৫ শতাংশ পাবেন পরমেশা।

ইতিমধ্যে ১০ হাজার কাঁঠাল চারার বরাত পেয়েছে আইআইএইচআর। ৩৫ বছর আগে পরমেশার বাবা এসকে সিদ্দাপ্পা এই কাঁঠাল গাছ বসিয়েছিলেন। সেই কাঁঠাল গাছের সূত্রেই ভাগ্য খুলে গেল পরমেশার। তামার রংয়ের কাঁঠালের কোয়াগুলো অনেক বেশি পুষ্ঠিকর এবং সহজপাচ্য। তাই সাধারণ কাঁঠালের থেকে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে এই কাঁঠাল।