বিএনপি প্রার্থী দিলদারের গাড়িতে পাথর ছুড়ে ভাঙচুর

সিলেট-৪ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দিলদার হোসেন সেলিমের গাড়িবহরে পাথর ছুড়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা এলাকায় গণসংযোগ করে তাঁর গাড়িবহর সদরে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।

দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, গণসংযোগ শেষে পাড়ুয়া এলাকায় এলে তাঁর গাড়িবহরে পাথর দিয়ে ঢিল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বহনকারী গাড়িসহ তিনটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এ সময় আশপাশ এলাকার মানুষজন এগিয়ে এলে পাথর ছোড়া বন্ধ হয়।

কারা পাথর ছুড়েছে? এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নেতা দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, ‘এর আগে আমি শাহ আরেফিন টিলা এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী সভা করেছি। সেখানে পাথর উত্তোলন নিয়ে সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় পরিবেশ ধ্বংস, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছি। আমার ধারণা, এর প্রতিক্রিয়ায় আমার গাড়িবহরে এই হামলা করা হয়েছে।’

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মী জানান, শাহ আরেফিন টিলা থেকে ভোলাগঞ্জবাজার যেতে দুটি প্রাইভেটকার ও তিনটি মাইক্রোবাস ছিল। এসব গাড়িতে পাথর ছোড়া হলে তিনটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এ সময় অন্ধকার থাকায় পাথর নিক্ষেপকারীদের কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধ থেকে এই রকম হয়েছে বলে শুনেছি।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবরের দাবি, নির্বাচনী প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন। তবে কারও নাম পাননি।

কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি ও শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধ যন্ত্র ‘বোমা মেশিন’ দিয়ে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে টিলা ও গর্ত ধসে গত দুই বছরে ৩৪ জন পাথরশ্রমিক নিহত হয়েছেন। পাড়ুয়া এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের একটি চক্র অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও চাঁদাবাজিতে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট) আসনের সাবেক সাংসদ। ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। এ আসনের বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।