বিএনপি-জামায়াতের অভিযোগ

সিলেটে ভোট শুরুর ১০ মিনিট পর কেন্দ্র দখল-জালভোট

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর পর নানা অনিয়ম দেখা দিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। বিশেষ করে কেন্দ্র দখল, ভোটগ্রহণ বন্ধ, ব্যালট সংকট, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগই বেশি। এসব অভিযোগে শাসক দলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন বিএনপি-জামায়াত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

সোমবার সকাল ৮টায় সিসিকর ১৮নং ওয়ার্ডের রায়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।

তিনি ভোট দেয়ার পর অভিযোগ করেন, রাতে ভোট জালিয়াতির। কিন্তু তার এমন অভিযোগ মিথ্যাচার বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।

এর পর আরিফ অভিযোগ করেন, ২১নং ওয়ার্ডের চান্দুশাহ দাখিল মাদ্রাসা এবং এমসি কলেজকেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।

এদিকে নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী কামাল মিয়া ওরফে গুল্লি কামালের লোকজন বর্তমান কাউন্সিলর স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজওয়ান আহমদের এজেন্টদের ওপর সকাল ৮টা ১০ মিনিটে হামলা চালায়।

তারা খাসদবির ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ল্যাপটপ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেন। রেজওয়ান আহমদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এমন অভিযোগ করেছেন।

বেলা ১০টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১০ ও ১১নং ওয়ার্ডের বেশ কটি কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই।

সরেজমিন জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে রেডিও প্রতীকের কাউন্সিলরপ্রার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা রিমাদ আহমদ রুবেল ও তার কর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে অন্যান্য কাউন্সিলরপ্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেন।

তারা ভেতরে অবস্থানকালে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যরা ওখানে গেলে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

এদিকে জামায়াতের অভিযোগ, ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বের করে দেয়া হয়।

এর মধ্যে কাজিরবাজার, মীরাবাজার জামেয়া, স্কলার্স হোম, নবীনচন্দ্র বিদ্যালয়, হাতিম আলী স্কুল, বাগবাড়ী বর্ণমালা কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য। বের করে দেয়ার পর কেন্দ্রগুলো ছাত্রলীগ দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ জামায়াতের। তা ছাড়া ২১নং ওয়ার্ডের স্কলার্স হোম কেন্দ্রে ভোটারদের শুধু কাউন্সিলারদের ব্যালট দেয়া হচ্ছে কিন্তু মেয়রদের ব্যালট দেয়া হচ্ছে না।