অতীতেও কেউ সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না

সারাবিশ্বে যখন স্বাধীন তথ্য প্রবাহের যুদ্ধ চলছে তখন বাংলাদেশের কিছু স্বার্থনেশ্বী মহল দেশের প্রতিটি প্রান্তে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পার্বত্য অঞ্চলও এর ব্যাতিক্রম নয়। পার্বত্য অঞ্চলের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল পাহাড়২৪ ও দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ফজলে এলাহী এবং আলোকিত রাঙ্গামাটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক জাবেদ মোঃ নূরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। সংবাদপত্রে বা কোন অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত কোন প্রতিবেদনে আপত্তি থাকলে প্রতিবাদলিপি দেওয়ায় কিংবা অন্য কোন গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে তা না করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা কিংবা হয়রানী করার চেষ্টা করা খুবই দূঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক।

মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, যতই বাধা আসুক, যতই মামলা,হামলা,হুমকি,ধমকি দিক সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করবেই। অতীতেও কেউ সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে পারে নি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের হয়রানীর বিরুদ্ধে সরকার ও সাংবাদিক নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধনে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর ‘পাহাড়টোয়েন্টিফোর ডট কম’ এ প্রকাশিত ‘রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ‘পাইরেটস’ বিড়ম্বনা’ শিরোনামের সংবাদে ‘অতিশয় বিরক্ত ও অপমানিত বোধ ’ এবং ‘মানহানি’ ঘটেছে দাবি করে রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানায় গত ১২ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন সাবেক সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর জ্যেষ্ঠ কন্যা নাজনীন আনোয়ার। অভিযোগপত্রে তিনি নিজেকে পাইরেটস রেস্টুরেন্টের একজন অংশীদার ও ডিসি বাংলো পার্ক ব্যবহারের অনুমতি গ্রহীতা মো. হোসেনের ‘কার্যকারক’ হিসেবে দাবি করেন।

এর একদিন পর ১৩ ডিসেম্বর সাবেক সাংসদ ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু আরেকটি অভিযোগে ‘অতিশয় বিরক্ত ও অপমানিত বোধ’ করা এবং ‘দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের মানহানি’ ঘটেছে দাবি করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক আবুল খায়ের ১৪ ডিসেম্বর আবেদন করলে ৩০ ডিসেম্বর শুনানি গ্রহণ করে রাঙ্গামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত করার অনুমতি দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুই অভিযোগকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রতীম রায় পাম্পু।

দুটি অভিযোগেই ‘পাহাড়টোয়েন্টিফোর ডট কম’ ও ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ সম্পাদক ফজলে এলাহীর পাশাপাশি অভিযুক্ত করা হয়েছে রাঙামাটির আরেকটি অনলাইন পোর্টাল ‘আলোকিত রাঙামাটি’র সম্পাদককেও।