আ’লীগের মিছিলে গুলি, বিএনপির ২ শতাধিক নেতাকর্মী আসামি

নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর শহরে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ মিছিলে ইটপাটকেল ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ ২ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলা দুটি দায়ের করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূইয়া ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুল।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় আটপাড়া উপজেলায় যুব লীগের মিছিলে বিএনপির পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে একটি মিছিল বের করে।

মিছিলটি বিএনপির প্রার্থীর বাসা ও দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির কার্যালয় থেকে প্রথমে ইটপাটকেল ছোড়া হয়।

পরে মিছিলকারীরা উত্তেজিত হয়ে বিএনপির কার্যালয়ের দিকে ধাওয়া করলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী তার বাসার ছাঁদের ওপর থেকে মিছিলে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন।

এতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূঞা, শ্রমিকলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ হোসেন তালুকদার দোলন ও কান্দিউড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মাসুদ রানাসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

অপরদিকে ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভায় মিছিলে গুলি ছোড়ার জন্য বিএনপি প্রার্থী হিলালীর গ্রেফতার দাবি করা হয়।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঞা জানান, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের নির্দেশেই বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালী শান্তিপ্রিয় প্রতিবাদ মিছিলে তার বাসভবনের ছাদের ওপর থেকে গুলিবর্ষণ করেছে। আমরা এই নাশকতা সৃষ্টিকারী রফিকুল ইসলাম হিলালীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি করছি।অন্যথায় নাশকতার সব দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।

এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালী সাংবাদিকদের জানান, মিছিলকারীরা আমার বাসায় হঠাৎ হামলা করে কয়েকটি গাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে বাসার ভেতর থেকে আমি কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ি।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, ওই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।