‘আ.লীগের জন্মই মানুষের ভাগ্যন্নয়ন নিশ্চিত করা’

ঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের প্রতিটি অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্মই মানুষের ভাগ্যন্নয়ন নিশ্চিত করা।

৭৫ পরবর্তী যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে তারা নিজেদের বৈধ করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেছে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই বিধ্বস্ত একটি দেশকে নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দেন।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে অর্থনৈতক অগ্রগতি আনেন।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু এদেশের মানুষের, কৃষকের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে একমাত্র আওয়ামী লীগই পেরেছে। অন্যান্য দল থেকে এ দলের পার্থক্য এখানেই।

বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সবসময় নিজেদের সংস্কার করেছে। তাই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে এর থেকে কোন উন্নতি করতে পারেনি। যতোটুকু করতো তার চেয়ে বেশি দেখানো হত। আজ দেশে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যার সম্পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে একক কোন পরিকল্পনা দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনার কথা অনেক আগে থেকে করে আসছে। সে অনুযায়ী আগাচ্ছে সরকার।

কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে কাজের পরিধি ও জবাবদিহিতা বাড়বে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে। এর ফলে, দেশের সর্বোচ্চ বিভাগ থেকে একেবারে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু হিসাবের মধ্যে থাকবে। এতে কাজের দক্ষতা ও গতিশীলতা বাড়বে।