কারাগারকে রীতিমত আমি স্কুল বানিয়ে ফেলেছিলাম : আহেদ তামিমি

আটমাস কারাগারে আটক থাকাকালীন আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমি। সে জানায়, কারাগারটিকে আমি রীতিমত স্কুল বানিয়ে ফেলেছিলাম।

আন্তর্জাতিক আদালতে একদিন ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা লড়বে বলেও স্বপ্ন দেখছে ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরী।

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার একদিন পর ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে সে জানায়, আল্লাহর ইচ্ছায় আমি আইন নিয়ে পড়াশোনা করব। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা সহিংসতা তুলে ধরব।

আহেদ তামিম জানায়, গ্রেফতার হওয়ার যন্ত্রণা খুবই কঠিন। আমি যতটা সম্ভব তা বর্ণনা করতে চাই না। তবে এ অভিজ্ঞতা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। এটা আমাকে আরও পরিপক্ক করে তুলছে।

কারাগারে অন্যান্য নারীদের সঙ্গে মিলে আমি আইনের বিভিন্ন পরিভাষা মুখস্ত করতাম বলে জানায় সে।

আহেদ তামিমির ভাষ্য, তারা আমার সত্যকে ভয় পাচ্ছে। যদি তারা অন্যায় না করত, তবে সত্যকে ভয় পেত না। সত্য তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে। বিশ্বকে আমি এটা জানাতে চাই।

গত বছরের ডিসেম্বরে পশ্চিমতীরের নবি সালেহ গ্রামে নিজেদের বসতবাড়ির বাইরে ইসরাইলি সেনা ও ইহুদি দখলদারদের মুখোমুখি প্রতিরোধ গড়ে তোলে সে। একসময়ে সে এক ইসরাইলি সেনাকে চড়থাপ্পর ও লাথি মারে।

গ্রামটিতে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে।

পরে তার মা এই ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এতে ফিলিন্তিনি মুক্তিকামী মানুষদের কাছ থেকে রীতিমত প্রশংসা কুড়িয়েছে সে। ইহুদি সেনাকে আহেদ তামিমির চড়থাপ্পরকে উসকানি হিসেবে দেখছে ইসরাইল।

ষোড়শী আহেদ তামিমির বিরুদ্ধে তখন গুরুতর হামলাসহ ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত মার্চে সে স্বীকারোক্তি দিলে হামলার অভিযোগে তাকে আট মাসের কারাদণ্ড দেয় ইসরাইলি সামরিক আদালত। ডিসেম্বরে তার আটক হওয়ার দিন থেকে সাজার মেয়াদ হিসাব করা হয়।