কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে মিলল ১৫ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ আটটি দান বাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর সিন্দুক গুলো খোলা হয়।

এবার ৩ মাস ১ দিন পর শনিবার (১ অক্টোবর) দান্ সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে । সিন্দুক গুলো থেকে ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই ৩ মাস ২০ দিন পর দান বাক্স গুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনমাস একদিন পর্ দান সিন্দুকগুলো খোলা হল।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস টাকা গণনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। টাকা গণনার কাজে রুপালি ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। ১৬টি বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।