কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়সহ কবিরাজ আটক

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মানুষকে যাদু করার কাজে ব্যবহৃত মানুষের মাথার খুলি ও হাড়সহ এক কথিত কবিরাজকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানেরখামার গ্রামে।

জানাগেছে ঐ গ্রামের আয়নাল হক সর্দারের বাড়ির সামনের গেটে শত্রুতাবশত কে বা কারা প্রায় সময়ই তাদের কবিরাজ দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মরা মানুষের কাফনের কাপড়,সিঁদুর মাখা জবা ফুল,সিদুরের ফোটা দিয়ে আসছে । এসব কবিরাজীর কারনে তার স্ত্রী মোছাঃ জুলেখা বেগম কয়েকবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করান এবং যাদু করা কবিরাজকে হাতেনাতে আটক করতে নজরদারী শুরু করেন আয়নাল হক।

এদিকে শুক্রবার রাতে আয়নাল হক সর্দারের প্রতিবেশী জনৈক লিটন মিয়ার বাড়িতে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তরছাটগোপালপুর গ্রামের মৃত রফাতুল্লাহর পুত্র কথিত কবিরাজ আব্দুস ছাত্তার (৫০) আসে বিভিন্ন তান্ত্রিক কবিরাজী শুরু করে। এসময় আয়নাল হক সর্দার তার স্ত্রীর চিকিৎসা করাবেন বলে কবিরাজকে জানালে তিনি অন্যকাজে ব্যস্ত এবং চিকিৎসা করাতে পারবেন না বলে জানালে তাদের আরও সন্দেহ হয়। কথিত কবিরাজ লিটনের বাড়িতে কাজ সেরে বাড়িতে ফেরার সময় উক্ত আয়নাল হক সর্দার ও এলাকাবাসীরা তাকে আটক করে। এসময় তার সাথে থাকা ব্যাগের ভিতর থেকে একটি মরা মানুষের মাথার খুলি,হাড় ও বান মারার কাজে ব্যবহৃত কবিরাজী জিনিসপত্র উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পাওয়ার পর থানা পুলিশ একটি মরা মানুষের মাথার খুলি,হাড় ও বান মারার কাজে ব্যবহৃত কবিরাজী জিনিসপত্রসহ কথিত কবিরাজ আব্দুস ছাত্তারকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ আলমগীর হোসেন জানান, কবিরাজকে থানা হেফাজতে নেয়ার পর পুলিশ বাদী হয়ে দঃবিধি ১৫১ ধারায় মামলা দায়ের পুর্বক শনিবার সকালে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।