এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাময়িক বরখাস্ত

ফলোআপ⤵️⤵️⤵️
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায়, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয় দুটির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এনিয়ে ৬টি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। অপরদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটঁনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আরো দুই শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হলেও পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ওই বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন, পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে এদের কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ৬ জন।

এঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক (বিভাগীয়) তদন্ত শুরু করেন। তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সহ অন্যান্য শিক্ষকদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফঁাস চক্রের সাথে জড়িত কেউ রেহাই পাবেনা। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোঃ ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম বিকেলে ভূরুঙ্গামারী পৌছেছে। তদন্তটিমের অন্য সদস্যরা হলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) প্রফেসর মোঃ হারুন অর রশিদ মন্ডল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ আকতারুজ্জামান। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মতবিনিময়ের পর তদন্ত শুরু করবে।

ওসি আলমগীর হোসেন জানান, প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবকে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডের শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানসহ তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করে এবং গণিত,কৃষি , পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ওই ৪টি পরীক্ষা স্থগীত ঘোষণা করে।