খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় চা দোকানিকে গলাকেটে হত্যা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় মেরুং ইউনিয়নের চা-দোকানদার মো: জাহাঙ্গীর আলমকে(৫২) গলা কেটে হত্যার করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের শ্বশুর। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে উপজেলার ১নম্বর মেরুং ইউনিয়নের ছোট হাজাছড়া ডেবার পাড় এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলমের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জাহাঙ্গীর আলম বীরবাহু কার্বারিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন এবং ছোট মেরুং বাজারের মাইনী সেতুর পশ্চিম পাড়ে তাঁর একটি চায়ের দোকান ছিল।

হত্যার ঘটনার পরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে নামে। এ সময় জাহাঙ্গীরের প্রতিবেশী মো: পারভেজ(৩২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। পরে তাঁকে দিনভর মেরুং পুলিশ ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আরও তিন যুবকের নাম বলেন। পরে পুলিশ ওই তিনজনকেও হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পুলিশ জানায়, পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর বাড়ির সামনে গোবরের স্তুুপ থেকে নিহত জাহাঙ্গীরের মাথা ও বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা, কোদাল উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, পরকীয়া বা সম্পত্তির বিরোধের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমের শ্বশুর বলেন, ‘আমার মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা বা বিরোধ ছিল বলে আমার জানা নেই। তাই আমি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছি।’

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কেএম পেয়ার আহমেদ বলেন, চা-দোকানি জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পারভেজ নামের এক যুবকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের মাথা ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, কোদাল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। পরকীয়া কিংবা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।