দুই বিমান বিধ্বস্ত : প্রাণে বাঁচলেন চার পাইলট

কক্সবাজারের মহেশখালীতে আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় সংঘর্ষের পর বিমানবাহিনীর দু’টি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই বিমানে থাকা চারজন পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা পালপাড়া ও উপজেলার ছোট মহেশখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত হওয়ার পর পর বিমানে আগুন ধরে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি-না তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানা যায়নি।

বুধবার রাতে আইএসপিআরের পরিচালক রাশিদুল হাসান বলেন, দুই বিমানে থাকা চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

আইএসপিআর জানায়, বিধ্বস্ত বিমানের একটিতে ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শরীফ ও স্কোয়াড্রন লিডার মনির। অপর বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার আজিম ও রাজীব। চার পাইলট বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৫৬ মিনিটে প্রশিক্ষণ বিমান দুটি নিয়ে উড্ডয়ন করেন। ৫০ মিনিট পর কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীর দু’টি প্রশিক্ষণ বিমান সান্ধ্যকালীন মহড়ায় উড়তে গিয়ে আকাশে সংঘর্ষ হয়। পরে মাটিতে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত অংশটি মহেশখালী উপজেলার দু’টি স্থানে পড়েছে বলে জানালেও এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি-না তা জানাতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমান দু’টি এয়ারফোর্সের অতটুকুই সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে জানিয়েছেন। সেখানে কে বা কারা ছিলেন তা আইএসপিআর তথ্য বিবরণী মাধ্যমে জানাবে।

এদিকে, খবর পেয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল কালাম ও সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে মহেশখালীর দমকল বাহিনী।

মহেশখালীর ইউএনও মো. আবুল কালাম জানান, সন্ধ্যার পর পর আকাশে দু’টি বিমানের সংঘর্ষে বিকট শব্দ শোনা যায়। এর পরই মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা পালপাড়া এলাকায় বিমানের একটি অংশ পড়ে আগুন জ্বলে। আর একটা অংশ পড়েছে উপজেলার নিকটবর্তী ছোট মহেশখালী এলাকায়।

মহেশখালী থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, খবর পেয়ে পুলিশের পৃথক ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজুল হক টুটুলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের পথে রয়েছেন।