নওগাঁয় দম্পতিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, দুই হোতা আটক

নওগাঁর পোরশায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক দম্পতিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই হোতাকে বৃহস্পতিবার (২৮) দুপুরে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী দম্পতি উপজেলার ঘাটনগর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের বাবু ও স্ত্রী সুলতানা বেগম। গত ১৫ জুন (শুক্রবার) গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন গ্রামের মৃত শফির উদ্দিনের ছেলে আমিনুর ইসলাম ও তার ভাই আনিছুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১৫ জুন দুপুরে আমিনুর ইসলামের নেতৃত্বে মহির উদ্দিন ও নাসরিন বেগমসহ ১২/১৫ জন নারী-পুরুষ বাবু ও স্ত্রী সুলতানাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এরপর ভুক্তভোগীরা মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তারা থানা পুলিশকে না জানিয়ে নওগাঁ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

নির্যাতনের ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর থানা পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে বিষয়টি অবগত হয়। এরপর মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ভুক্তভোগীদের থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার (২৭ জুন) রাত ১০টায় ভুক্তভোগী বাবু বাদী হয়ে ৩৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘাটনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ বলেন, শুনেছি বাবু তার স্ত্রী সুলতানাকে দিয়ে এলাকায় অনৈতিক কার্যক্রম করাতেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে দ্ব›দ্ব হয়। ঘটনাক্রমে এলাকাবাসীরা একহয়ে স্বামী-স্ত্রীকে মারপিট করে। তবে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি থানায় না জানিয়ে আদালতে মামলা করেন। বিষয়টি জানার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার মূলহোতাসহ দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের ঘটনার মূল বিষয়টি জানা সম্ভব হবে।