অপরাধের সমর্থন না করায়

নরসিংদীতে ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার

নরসিংদীর জেলার সাহেপ্রতাব ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা। তার হাত ধরেই এ সংগঠনটি এগিয়ে চলেছে। জানা যায়, তিনি শীলমান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা।

পেশায় ছিলেন নরসিংদী—ঢাকা, ঢাকা—কিশোরগঞ্জ রোডের একজন সাধারন বাস চালক। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি বর্তমানে নরসিংদী জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।

সাধারন একজন ড্রাইভার থেকে তিনি আজ এ সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক হয়েছেন সততা ও নিষ্ঠার কারনে। বর্তমানে তিনি সাধারন শ্রমিকদেরকে নিয়ে পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছেন।
একই সংগঠনের মোঃ খোরশেদ আলম (তাবিজ) সংবাদকর্মী রুদ্রকে জানান, বিগত সময় ধরে আমাদের এই সংগঠনটি অত্যান্ত সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছে। হঠাৎই সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূঞা ঢাকার এক স্থানে ট্রাক চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন রাতে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলীর নিকট ফোন আসলে আমরা তাৎক্ষনিক আমাদের সংগঠনের সমস্ত নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে আলোচনা ও মিটিং করি তাকে সম্মানের সাথে কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এই সিদ্ধান্ত নিই।
কিন্তুু সভাপতি উল্টো সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অথচ তিনি নিজেই একজন অপরাধী।

তিনি আদালতে একটি মিথ্যা, হয়রানী মূলক অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, প্রতি শ্রমিক বাবদ ২ হাজার টাকা চাঁদা নেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের গঠনতন্ত্রে কোন জায়গায় ২ হাজার টাকার কোন উল্লেখ নেই। সম্পূর্ন মিথ্যা মনগড়া একটি অভিযোগ দিয়ে সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে ৪ বার বহিষ্কার করেছি। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে আমরা তাকে ক্ষমা করলেও তার মধ্যে কোন মানবিক দৃষ্টি কাজ করে না।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১০/১২ জন সাধারন শ্রমিক সংবাদকর্মী রুদ্রকে জানায়,সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে সভাপতি যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমাদের সাধারন সম্পাদক প্রায় সময় অসহায় বিপদগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশে আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকেন। উনি একজন ভালো মনের মানুষ।

এদিকে সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা সংবাদকর্মী রুদ্রকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে তার কোনটাই সত্য নয়। অথচ তিনি একজন সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বে থেকে বিগত সময়ে যে সমস্ত অন্যায়, অনিয়ম করেছে এতে করে শ্রমিকরা তার প্রতি মনক্ষুন্ন ও বিভ্রান্ত।

এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ এ সংগঠনটি বাংলাদেশের একটি শ্রেষ্ঠ সংগঠন হিসেবে দাড় করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে নরসিংদী জজ কোর্টে একটি মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় যা কিছু বলা হয়েছে তার সাথে বর্তমান সংগঠনের কাগজপত্রের কোন মিল নেই। অথচ তিনি এ সমস্ত তথ্য কোথা থেকে পেয়ে এ সংগঠনের সুনাম নষ্ট করছে তা আমি জানিনা। তাই উনি যেহেতু একজন সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি সকলের সাথে বসে বিষয়টি নিয়ে সুরাহা করা উচিত ছিল। কিন্তুু তিনি তা না করে নিজের মনগড়া ইচ্ছামত সংগঠন ও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে করে প্রায় অধিকাংশ শ্রমিক তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছে ও সংগঠনের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মৃধা সংবাদকমীর্ রুদ্রকে মোবাইল ফোনে বলেন, আমি শ্রমিকের কল্যাণে বিগত সময়ে কাজ করে আসছি। অথচ তারা একক ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে ৪ বার বহিষ্কৃত করেছে। এক পর্যায়ে ট্রাক চুরি ও বিক্রির বিষয়টি তার কাছে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। আমি এই ঘটনার বিষয়ে স্বাক্ষীও আছি।

এদিকে শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য রনি বলেন, সাহেপ্রতাবের যে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে এতে করে আমাদের সংগঠনের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এখনই তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করা উচিত বলে আমি মনে করি।

এদিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি একটি সংগঠন শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠন। কিন্তুু তাদের নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির কারনে তৃতীয় পক্ষের মানুষেরা এখন সমালোচনায় ব্যস্ত। এ সুযোগটিই তারা নিজেরাই করে দিচ্ছে। এর দায় এড়াতে পারে না এই সংগঠন। এখনই নিজেদের ভুল বুঝে দ্রুত আলোচনা করে ঘটনাটি সুরাহা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।