নরসিংদীর শিবপুরে স্কুলছাত্রকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, সঠিক তদন্ত চায় পরিবার

নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলার তেলিয়া-ঝাউকান্দির দশম শ্রেণির ছাত্র তেলিয়া উত্তর পাড়া নুরুল ইসলামের ছেলে সাকিল (১৬)কে পলাশ উপজেলা রামপুর গ্রামের আওলাদ গাজীর মেয়ে আলেয়া (১৫) দুইজন তেলিয়া-ঝাউকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে।

গত ০২/০১/২০২৩ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল ৯(খ)(৪)৩০ ধারা মোতাবেক গত ০২/০১/২০২৩ তারিখে মামলায় (১) সাকিল (২০),পিং নুরল ইসলাম, (২) আজিজুল (২২) পিং আলী আহম্মদ সর্ব সাং তেলিয়া,
(৩) সাইফুল ইসলাম রদ্র, পিংখোরশেদ আলম সাং মরজাল, থানাঃ রায়পুরা।

উক্ত মামলার মেয়ের মা বাদী না হয়ে সু-চতুর কাকা আলতাফ গাজী বাদী হয়ে তিনজন কে আসামী করেন। ঐ ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে সালিশ দরবার করা হয়।
শালিসের পর সু-চতুর আলতাফ গাজী মামলার মীমাংসা করবে বলে বিবাদী বাবা নুরুল ইসলাম ও আলী আহম্মদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেয়।

বিবাদীগণকে আলতাফ গাজী বলেন, কোর্টে গিয়ে মামলা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম দুই কিশোরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী ঘটনার স্থান উল্লেখ করা হয় কলা বাগানে। মামলার বাদী স্বাক্ষী করা হয় ৬ জনকে তারা আলতাফ গাজী বাড়ির লোক।

৩ নং আসামী সাইফুল রদ্রকে ষড়যন্ত্র করে উক্ত মামলার আসামী করা হয়। এই ব্যাপারে বিবাদী সাকিল এর পিতার সাথে কথা হলে, তিনি জানান সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে আমরা চিনি না, কিংবা সে আমার আত্মীয় নয়। তিনি একজন সংবাদ কর্মী। মামলায় সাকিলের বয়স উল্লেখ করা হয় (২০) চলমান আদালত ভুল তথ্য দিয়ে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে আলতাফ গাজী। সাকিল ভাল ছাত্র তেলিয়া-ঝাউকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি তার রল নম্বর (৫)।

এদিকে বাদী ৩ নং আসামী সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে, আরও বলে যত টাকা লাগবে আমি বড় অফিসার দিয়ে তরে ধরে আনবো।

সাংবাদিকরা আলতাফ গাজী সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সংবাদ কর্মি সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে অন্য কারণে উক্ত মামলায় আসামি করেছি।

এছাড়া সাকিল ও আলেয়া তারা লেখাপড়া করে, সামনে তারা
উচ্চ শিক্ষার জন্য আশার আলো স্বপ্ন বুনে আছে। চলমান আদালত, জেলা প্রশাসনের কাছে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষ সঠিক, সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের লেখাপড়া জীবনে ফেরৎ পাঠানোর আহবান জানান।