কলাপাড়ায় এলএ শাখার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

প্রয়োজনে প্রাণ দেবো,তবুও প্রাপ্ত টাকা না পেলে বাপ দাদার ভিটা ছাড়বো না। প্রতিবাদী এমন স্লোগানে অধিগ্রহনকৃত ভুমি এবং অবকাঠামোর ক্ষতিপুরনসহ ভুমি অধিগ্রহন শাখা ও দালালচক্রের হয়রানি বন্ধের দাবীতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ জুলাই) দুপুর বারোটায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউপির চর বালিয়াতলী গ্রামে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে ভুক্তোভোগী পরিবারের প্রায় দেড় সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহন করে।

এসময় ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির,নারী ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ, প্রভাষক ফকর উদ্দিন, কাওসার আহমেদ সহ আরো অনেকে।

ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ, পায়রা বন্দরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বালিয়াতলী ইউনিয়নের চর বালিয়াতলী মৌজা থেকে ভুমি অধিগ্রহন করছে। জেলা ভুমি অধিগ্রহন শাখা এল এ কেস নং- ১৬/২০১৭-১৮ এর মাধ্যমে ভুমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সর্বশেষ ভুমি জরিপ বিএস খতিয়ানের মাধ্যমে ক্ষতিপুরনের টাকা প্রদানের কথা উল্ল্যেখ করে চিঠি প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভুমি অধিগ্রহন শাখায় যোগাযোগ করলে সিএস জরিপের কাগজপত্রের চাহিদা তুলে ধরে কমিশন দাবী করছেন ভুমি অধিগ্রহন শাখার কানুনগোসহ সার্ভেয়রা।

এছাড়া ভুমি অধিগ্রহন শাখার চিহ্নিত দালালচক্রের মাধ্যমেও মামলাসহ নানা জটিলতা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্থদের হয়রানীর অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা।

বালিয়তলী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বলেন, ভুমি অধিগ্রহনের ফলে অনেক পরিবার তাদের পূর্ব পুরষদের সমাধি হারাবে। স্মৃতি বিজরিত পৈত্রিক ভিটা-বাড়ী হারাবে। মৎস্য শিকার ও কৃষি নির্ভর দরিদ্র এ এলাকার মানুষ তাদের কর্ম হারিয়ে উদ্বাস্তু হবে। এনিয়ে মন:কস্ট থাকলেও দেশের উন্নয়নের জন্য তারা জমি দিতে রাজী। তবে জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতিপুরুন ছাড়া তারা জমি দিবেননা। এমনকি ভিটা রক্ষায় শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়বেন অসহায় মানুষগুলো।

আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ফকর উদ্দিন জানান, ভুমি অধিগ্রহন শাখার চিহ্নিত দালালদের একের পর এক মামলায় ক্ষতিগ্রস্থতরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এর উপড় ভুমি অধিগ্রহন শাখার দুর্ণীতিপরায় কানুনগো, সার্ভেয়ারা নানাভাবে দরিদ্র ভুমি মালিকদের পদে পদে হয়রানি করছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী সহ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।