পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নারীসহ ৪জন আহত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২ নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী এক মেম্বার প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার ধুলাসার ইউপির চর ধুলসার গ্রামের এ ঘটনায় আহত কাশেম মোল্লা (৬৩), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫), পুত্র সোহাগ মোল্লা(২৪), তার স্ত্রী রুবিনা আক্তারকে(২১) স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে কাশেম মোল্লা ও তার পুত্রবধূ রুবিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত কাশেম মোল্লা জানান, ধুলাসার ইউপির ১ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী নেছার উদ্দিনের সমর্থন করে তার পরিবার। কিন্তু নির্বাচনে মেম্বার বিজয়ী হন নুর-উদ্দিন। এর পর থেকেই তার পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন নুর-উদ্দিন ও তার সাঙ্গপাংঙ্গরা।

এনিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বাঁধ কাটার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নির্বাচনী জেরে তাকে মারধর করে শহীদুল,সুফিয়ান,রাসেল,আসিফসহ আরো বেশ কয়েকজন। তিনি জানান, এসময় তাকে বাঁচাতে তার পবিারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করে হামলাকারীরা। এমনকি বাড়ি ঘর কুপিয়ে নগদ অর্থ এবং সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করেন।

গৃহবধূ রুবিনা জানান, আমার শশুরকে এলোপাথারী মারতে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যাই। এসময় আমার কোলে থাকা ৩ বছরের কন্যা সোহাগিকে ছুরে ফেলে দিয়ে আমার উপর নির্যাতন চালায়। পরে ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তবে এবিষয়ে ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুর-উদ্দিন জানান , কোন নির্বাচনী বিষয় নিয়ে মারামারি হয়নি। আমার চাচাতো বোন এবং তার পরিবারের সাথে খালের বাঁধ কাটা নিয়ে মারামারি হয়েছে। আহতদের আমি হাসপাতালে দেখতে গেলেও তারা আমার সাথে কথা বলেনি।

মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের জানান,খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তবে এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।