পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুলিশ পরিচয়ে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে শাশুড়িকে নির্যাতন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শাশুড়ীকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে জামাতার বিরুদ্ধে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউপির চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই গুরুতর আহতাবস্থায় ননী বেগমকে (৪০) উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে তিনি শয্যায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে যন্ত্রনাসিক্ত হয়ে কাতরাচ্ছেন। নির্যাতিতা নারীর স্বামী আবদুর রহিম ফকির জানান, তার প্রথম স্ত্রী গত তিন বছর আগে হঠাৎই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এরপর থেকে তার দেখভালের জন্য বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনি ননী বেগমকে ২ বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তার দুই কণ্যা এবং জামাতারা দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। এর জের ধরেই বুধবার রাতে তার মেয়ের জামাতা সাবু ও তার দুই কণ্যা শীলা এবং রিক্তা গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় কোন কিছু বুঝে ওঠের আগেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আমার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করে।

তিনি জানান, স্ত্রীকে নির্যাতনে বাধা দিলে তাকেও মারধর করে জামাতা সাবু। পরে ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তার অভিযোগ, মেয়ের দুই জামাতা তার নিজ রেকর্ডীয় সম্পত্তি ভোগেও বাধা দিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এদিকে ভুক্তভোগী ননী বেগমের অভিযোগ, কোন ধরনের অপরাধ না করলেও শুধুমাত্র স্বামীর পক্ষে কথা বলায় তার উপর এমন অমানুসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার স্বামীর কোন ছেলে সন্তান না থাকায় জোর করে সম্পত্তি ভোগ দখলে নিতে চাইছে জামাতারা। এদিকে হাসপাতালের শয্যায় গিয়ে দেখা যায়, ননী বেগমের মুখমন্ডলসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি শরীরের যন্ত্রনায় বিছানায় শুতেও পারছেন না তিনি।

এবিষয়ে জামাতা সাবু জানান, এ ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কলাপাড়া থানার ওসি মো.জসীম জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।