পাবনায় বাড়ি বাড়ি সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা: টিকা কেন্দ্র ভিত্তিক করোনা পরীক্ষা দরকার

পাবনায় বাড়ি বাড়ি শুরু হয়েছে ঠান্ডাজণিত সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা রোগ। করোনা বা ওমিক্রণের লক্ষণ হলেও গ্রাম এলাকায় করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় অজানাই থেকে যাচ্ছে সংক্রমণের হার। এমনকি এসব কারণে কোন কোন গ্রামে কারও কারও মৃত্যু ঘটলেও প্রকৃত কারণ জানা যাচ্ছে না।
বর্তমানে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন স্থানের গ্রাম ডাক্তারদের কাছে এমন অসুস্থ রোগীর ভিড় লেগেই আছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন গ্রামের অন্তত: ৭ জন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। তার মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক দিনে চাঁদভা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামে ২ জন, দেবোত্তর ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে ১, ফলিয়া গ্রামে ১ শ্রীকান্তপুর গ্রামে ১ জনসহ অন্যান্য গ্রামে বিগত এক সপ্তাহে ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এ ছাড়াও অনেক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমতাবস্থায় গ্রাম এলাকায় করোনা ভাইরাস গণসচেতনতা ও মাস্ক ব্যবহার নাই বললেই চলে!
পাবনার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন কোন বাড়ি নাই যে বাড়িতে কারও না কারও সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা নাই, এমনকি বাড়ির একাধিক সদস্যেরও এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব অসুস্থ্যতায় করোনা বা ওমিক্রণ সংক্রমণের লক্ষণ থাকলেও গ্রামের মানুষদের ব্যাপক করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় প্রকৃত সংখ্যা বা তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না।
সচেতন মহলের অভিমত, এই মুহুর্তে প্রত্যেক এলাকায় টিকা কেন্দ্র ভিত্তিক করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। সেই সাথে মাস্ক ব্যবহারে সকলকে বাধ্য করা দরকার। একই সাথে ভ্যাকসিন প্রদানের গতি বাড়াতে হবে।
শুধু মহামারী নয়, যে কোন রোগ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সচেতন থাকা জরুরী।