পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থী সংকট; ৩ ক্লাস মিলিয়ে শিক্ষার্থী ৫ জন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৪০ নং দাউদখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষার্থী আর ২ জন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম।মানসম্মত পাঠদান এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টিতে এ বছর প্রাক প্রাথমিকে ভর্তি হয়েছে ১ জন। তৃতীয় শ্রেনীতে ২ জন,৪র্থ শ্রেনীতে ২ জন এবং ৫ম শ্রেনীতে ১ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত পাওয়া যায়।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ২ বছর আগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক বিপ্লব চন্দ্র ঘরামি।আরেকজন সহকারি শিক্ষক থাকলেও চাকরি আছে মাত্র ১ মাস।

২০২০ সালের ৩ মার্চ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়।ওই একই বছরের ৯ মার্চ বিপ্লব চন্দ্র ঘরামি সহকারি শিক্ষক হিসেবে নতুন যোগদান করেন।ওই বছরেই তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয় শিক্ষা অফিস।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ভাস্কর মিস্ত্রী।বিদ্যালয় থেকে তার বাড়ি ২০ কিলোমিটার দূরে শাঁখারিকাঠি গ্রামে।ক্যাচমেন্ট এলাকার মধ্যে বিএ পাস লোক থাকলেও অজ্ঞাত কারনে আরেক ইউনিয়ন থেকে সভাপতি সিলেকশন করা হয়েছে।

কোন প্লানিং মিটিং না করেই স্লিপের টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ভুয়া বিল ভাউচার। ১ হাজার টাকার ব্যানার কাগজ দিয়ে একটি মনিটরিং বোর্ড তৈরি করে ৬ হাজার টাকা ভাউচার দেখানো হয়েছে। যদিও মনিটরিং বোর্ডটিতে আদৌ কোন তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয় নি। ৪ হাজার টাকা মূল্যের ২টি পুষ্পিং বোর্ড অফিস কক্ষে ফেলে রাখা হয়েছে। ৩০০ টাকার একটি শিক্ষক পরিচিতি ব্যানার তৈরি করে ভাউচার করা হয়েছে ২ হাজার টাকা। বিদ্যালয়গামী মোট ২০ জন ছাত্র ছাত্রী থাকলেও উপবৃত্তি তালিকায় রয়েছে ৬০ জনের নাম। প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষটি আদৌ ব্যবহার করা হয় না। মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশসহ পালন করা হয় না জাতীয় দিবস সমূহ। পালন করা হয় নি বই বিতরণ অনুষ্ঠানও। ২ লাখ টাকার বরাদ্দে তৈরি করা ভুয়া বিল ভাউচার দেখাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিপ্লব চন্দ্র ঘরামি। তার বক্তব্য আর সভাপতির বক্তব্যে ৪৫ হাজার টাকা গরমিল থাকলেও এ টাকা অফিস খরচ আছে বলে জানায় তারা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি জানান, ৫০ জন শিক্ষার্থীর কম বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। অধিদপ্তর এ নিয়ে কাজ করছে। আর বিদ্যালয়ের যেকোন অনিয়ম খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।