প্রেমিকার সঙ্গে হোটেলে রাত কাটিয়ে পালাল প্রেমিক

বিয়ের কথা বলে হোটেলে নিয়ে রাত কাটিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রেমিকাকে ফেলে পালিয়েছে এক প্রেমিক। এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়।

উপজেলার কাপড়কাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করতে যায় ওই প্রেমিকা। সেখানে গিয়ে প্রেমিকের স্বজনদের হাতে মারধরের শিকার হয় ওই স্কুলপড়ুয়া কিশোরী।

বিয়ের দাবিতে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নলছিটি পৌর এলাকার নাঙ্গুলী গ্রামের বাসিন্দা ও নলছিটি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী অনশন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়।

প্রেমিক তরিকুল ইসলাম সজল তৌকাঠি গ্রামের আ. ছালাম হাওলাদারের ছেলে ও রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটির অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

পরে সজলের পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে কিশোরীর অভিভাবক নলছিটি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল শরীফের কাছে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল সজলের। গত শনিবার সকালে স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে পালিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে বরিশালে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নেয়।

কাজী অফিসে না গিয়ে হোটেলে কেন স্কুলছাত্রীর এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেমিক সজল জানায়, এই হোটেলে বিকেলে কাজী এসে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন। পরে সজল ওই স্কুলছাত্রীকে রুমে আটকিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজিত অভিযান চালিয়ে তাদের ওই কক্ষ থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে রাতেই বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে।

পুলিশ রোববার তাদের আদালতে পাঠালে জামিনে মুক্ত হয়ে প্রেমিকাকে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক। পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সজলের বাড়িতে অনশন শুরু করে প্রেমিকা।

এ বিষয় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল শরীফ বলেন, স্কুলছাত্রী তার অভিভাবক নিয়ে রাতে আমার কাছে আসে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেও চেয়েছিলাম মীমাংসা করে দিতে। তাই মেয়েটিকে বাবার জিম্মায় দিয়ে সজলের বাবা আ. ছালামকে বলেছিলাম সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে আমার কাছে আসতে। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও তারা আমার কাছে না আসায় থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।