“বিশাল ভালো লোকজনই প্রথম ছুরিটা মারে পিছন থেকে!”

আমরা এমন অনেক লোকের সম্মুখীন হই, যাঁরা আমাদের সঙ্গে একটু ভালোই ভালো ব্যবহার করেন, বিশাল ভালো লোকজনই প্রথম ছুরিটা মারে পিছন থেকে! অকারণে প্রশংসা করা, খুব সাধারণ মানের একটা জামা বা টি-শার্টকে দুর্দান্ত বলে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া বা জোর করে সাহায্য বা উপকার করার চেষ্টা করা – এগুলি দেখলেই সাবধান হোন।

কারণ গবেষণা বলছে, এধরনের লোকেরাই অত্যন্ত বিপজ্জনক। এঁদের বিশ্বাস করেছেন তো ফেঁসেছেন। এঁরাই সুযোগ পেলে সবার আগে আপনার ক্ষতি করতে উদ্যত হবেন। সম্প্রতি বেজিং-এ অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিকসের বার্ষিক সভায় একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অত্যধিক মিষ্টভাষী সহকর্মীরাই সবচেয়ে বেশি তাঁদের সহকর্মীদের ঠকান।

বরং সেই আশঙ্কা নেই তুলনামূলকভাবে কম মিষ্টভাষী সহকর্মীদের থেকে। এই বিষয়ে ব্যক্তির আচরণ নিয়ে গবেষণা করতে ‘কূটনীতি’ নামে একটি আক্রমণাত্মক খেলার সাহায্য নিয়েছেন গবেষকরা। খেলাচলাকালীন প্রত্যেক খেলোয়াড়ের আচরণের পরিবর্তনের কথা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। উদাহরণ হিসেবে উল্লোখ করা হয়েছে একটি কথোপকথনের।

জার্মানি: আপনাকে অনুরোধ করছি যাতে আপনাদের সেনাবাহিনীকে পূর্বের দিকে সরিয়ে নেন। তবেই আপনাকে সমর্থন দেব। সামনের বছর আপনি সেখানে গিয়ে তুরস্ককে ভেঙে খানখান করবেন। আমি তখন ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের দিকটা দেখে নেব। আর আপনি ইতালি থেকে বেরিয়ে যাবেন।

অস্ট্রিয়া: পরিকল্পনাটা একেবারে সঠিক বলে মনে হচ্ছে। আনন্দের সঙ্গে এটা অনুসরণ করা যায়। ধন্যবাদ ভাই। তাহলে অস্ট্রিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? জার্মানিকে আক্রমণ করা, তাই তো?

এই উদাহরণ দেওয়ার পাশাপাশি গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, এই খেলায় যে কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ৫৭% ক্ষেত্রে বুঝতে পেরেছে যে প্রকৃত বিশ্বাসঘাতক কে। ব্যক্তি ঠকানোর জন্য সুন্দর করে কথা বলার সাহায্য নেয় বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে আচরণের আচমকা পরিবর্তনের কথাও। –এই সময়