পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়

বিয়ের প্রলোভনে যুবতীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ে না করায় মামলা

পটুয়াখালীর মহিপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক যুবতী (২১)। বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত প্রেমিক তার নিজ বসতবাড়িসহ একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

এছাড়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে ওই যুবতীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে অভিযুক্ত ইলিয়াস মাহমুদের (৩২) বিরদ্ধে।
প্রেমিক ইলিয়াস মাহমুদ মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউপির আলীপুর থ্রীপয়েন্ট এলাকার ইসমাইল ফরাজির পুত্র।

মামলার এজাহার ও যুবতীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ওই যুবতীর সাথে তার স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয় প্রায় তিন বছর আগে। পরে জীবীকার সন্ধানে কুয়াকাটা মিশ্রীপাড়া এলাকায় একটি দোকান রেখে ভ্যারইটিজ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন যুবতী। এরই মাঝে ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে যুবতীর সাথে ইলিয়াস মাহমুদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে গত ৫ জানুয়ারী কুয়াকাটার স্কয়ার হোটেলের ১১২ নম্বর কক্ষে যুবতীকে নিয়ে অবস্থান করেন ইলিয়াস। এসময় প্রতারনামূলকভাবে সম্মতি আদায় করে যুবতীর সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমের সম্পর্ক আরো গভীর হলে পরবর্তীতে ২০ ফেব্রুয়ারী প্রেমিক ইলিয়াস তার মা বাবার অনুপস্থিতে নিজ বসত বাড়িতে ডেকে নেয় যুবতীকে। পরে ওইদিন বিকাল থেকে বসতঘরের একটি কক্ষে রেখে পরের দিন ১১টা পর্যন্ত তিনবার ধর্ষণ করে ইলিয়াস। এসময় স্থানীয় জনতা ঘরের মধ্যে প্রেমিক-প্রেমিকার অবস্থান টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ইলিয়াসের মা বাড়িতে এসে পৌঁছালে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের সামনে যুবতীকে পুত্রবধু হিসেবে পরিচয় দিয়ে উপস্থিত সবাইকে বিদায় করেন। এমনকি ছেলের বউ হিসেবে গ্রহনের আশ্বাসে যুবতীকে জনতার সামনে মুখ না খোলার অনুরোধ জানায় ইলিয়াসের মা। এর কিছুক্ষন পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা চলে গেলে যুবতীর ফোনে ধারনকৃত প্রেমিক প্রেমিকার স্থির চিত্র ও বেশ কিছু কল রেকর্ডসহ ফোন নিয়ে ইলিয়াস বসতবাড়ি থেকে সটকে পড়ে। পরবর্তীতে ইলিয়াসের বাড়িতে একাধিকবার গিয়ে তার পিতা মাতার মাধ্যমে কোন সমাধান না পেয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ১ মার্চ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

বর্তমানে যুবতীকে এলাকা ছাড়তে হুমকি প্রদান করছে ইলিয়াসের পরিবার এমন অভিযোগ যুবতীর।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রেমিক ইলিয়াসের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

তবে ইলিয়াসের পিতা ইসমাইল ফরাজী বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ, তাকে ফাসাঁনো হচ্ছে, বা আমরা কাউকে হুমকিও দেইনি।

ইলিয়াসের মা কোন কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মিঠু জানান, আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।