মাদারীপুরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে

মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের ঘটনার পর প্রেমিক নিজেই ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় বলেও এমন অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতাল, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের স্বনির্ভর গ্রামের আশরাফ আলি সরদারের ছেলে সজীব সরদারের (২৩) সাথে পাশ্ববর্তী এলাকার কালিকাপর ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক মেয়ে সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই কলেজছাত্র সজীব রবিবার (২ অক্টোবর) কৌশলে প্রেমিকাকে নিয়ে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজার এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে উঠে। বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করার পরে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই তরুনী অসুস্থবোধ করার কারণে রাত ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। তরুনীর পরিবারের নাম ঠিকানা হাসপাতালের রেজিষ্টারে সঠিক না লিখে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার ও সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, গত রমজান মাসের কিছুদিন আগে এক আত্মীয় বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ঐ কলেজ ছাত্র সজীবের সাথে। সেখান থেকে শুরু প্রেমের সম্পর্ক। প্রায় এক বছর ধরে ওই যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সজীব কৌশলে পুরান বাজারের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি বোতলে পানি খেতে দেয়। খাওয়ার কিছু সময় পরেই অচেতন হয়ে যাই। এখন ওই ছেলে আমার অচেতন করে ক্ষতি করেছে। সে যদি বিয়ে করে আমার কোন আপত্তি নেই। আর সে বিয়ে না করলে ঘটনার কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

স্কুল শিক্ষার্থীর দুলাভাই বলেন, আমার শ্যালিকার সাথে খারাপ কাজ করেছে সে যদি আমার শ্যালিকাকে মেনে নেয় তাহলে তো ভালো। আর যদি সে না মেনে নেয় তাহলে আমরা সরকার এবং প্রশাসনের কাছে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ধর্ষণের বিষয়টি জানার পরে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে স্পষ্টভাবে বলা যাবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনা জানার পরে সদর হাসপাতালে আমাদের পুলিশ গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।