মিয়ানমারের প্রলোভনে বাংলাদেশ ছাড়ছে আদিবাসীরা

বিনামূল্যে জমি এবং খাবারের লোভ দেখিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার মারমা ও ম্রো গোষ্ঠীর ২২টি পরিবার নিয়ে গেছে মিয়ানমার। এদের মধ্যে জেলার থানচি ও আলীকদম উপজেলার ১১টি জাতিসত্তার মানুষ পাড়ি জমিয়েছে সেদেশে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়া পরিবারকে ৫ একর জমি, চাষের জন্য গরু এবং নগদ অর্থ দেবে স্থানীয় প্রশাসন এমন প্রলোভনের ভিত্তিতে তারা চলে যাচ্ছেন। এছাড়াও জুম চাষ আগের মতো না হওয়া, বাঁশ-বেত কেটে বিক্রি করার পথ বন্ধ এবং চলতি বছরে খাবার সংকটের আশঙ্কা এসবের কারণে মিয়ানমারের আশ্বাসে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তারা।

বড়মদক এলাকার থুইহ্লাচিং এবং হ্লামংচিং মারমা বলেন, তারা দীর্ঘদিন জুম চাষ করে খেতেন। কিন্তু ফলন আগের মতো হয় না। জঙ্গলে অন্যকিছু করে খাওয়ারও উপায় নাই। তাই অনেকে মিয়ানমার চলে যাচ্ছেন।

থানচির রেমাক্রি ইউপি চেয়ারম্যন মুইশৈথুই মারমা জানান, উসোথোয় পাড়া থেকে ২ পরিবার, চশৈ পাড়া থেকে ১টি, বড়মদক থেকে ৪ পরিবারসহ মোট ২২টি পরিবার মিয়ানমারের প্রলোভনে পাড়ি জমিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এলাকার জনপ্রতিনিধি, গ্রাম প্রধান ও স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করেছি। মিয়ানমারের প্রলোভনে পা না দেওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক করেছি। এরপরও অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে চলে যাচ্ছে।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মিয়ানমারে থাকা আত্মীয় স্বজনরাই আদিবাসী পরিবারগুলোকে প্রলুব্ধ করেছে। মিয়ানমারের প্রলোভনে পা না দেয়ার জন্য আমরা এলাকাগুলোতে সচেতনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছি।