যবিপ্রবির টিএসসি ভবনের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন

শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আরও বেগবান করতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের (টিএসসি) বর্তমান ভবনটি আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

রোববার বেলা ১১টায় যবিপ্রবির প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় টিএসসির এই ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে এ ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে মিলনায়তন, প্রশাসনিক, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস, ক্যানটিনসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকবে।

ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্যে দেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি বলেন, গত চার বছরে এ বিশ^বিদ্যালয়কে যেভাবে গতিশীল করা হয়েছে, বেগবান করা হয়েছে; আশা করি, আগামি দিনেও তা চলমান থাকবে। যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারের আরটি-পিসিআর টেস্টিং ল্যাবের করোনা পরীক্ষায় নিয়োজিতদের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে আগামি ৬ মাস পর্যন্ত দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর প্রথম মাসের ৫০ হাজার টাকা তিনি যবিপ্রবি উপাচার্যের হাতে তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা করার অনুমতি পেয়েছে। আশা করি, ঈদের পর এটি আমরা শুরু করতে পারবো। এই অনুমতি প্রাপ্তির জন্য সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদসহ যশোরের অনেকের প্রচেষ্টা ছিল। এ জন্য সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে জিনোম সেন্টারের পাশে দাঁড়ানোয় কাজী নাবিল আহমেদকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিছুদিন আগে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জিনোম সেন্টার পরিচালনায় এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, এ জন্য তাঁকেও আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ^াস, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ড. মো. মেহেদী হাসান, জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ^াস, অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ আলম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ড.ইঞ্জি, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রউফ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুস সাকিব, কর্মচারী সমিতির সভাপতি শওকত ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শহীদ মসিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত, ছাত্রলীগ নেতা আল-মামুন শিমন, রুহুল কুদ্দুস রোহিত, আশিক খন্দকার, নূর মোহাম্মদ টনি, কামরুল হাসান শিহাব, সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম।