যশোরের মণিরামপুরে সিরাপের বোতলে পোকা

যশোরের মনিরামপুরে চিকিৎসকের পরামর্শমত শিশু সন্তানের জন্য ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের ভেন্টিসল-এল সিরাপ কিনে বাড়িতে নিয়ে খোলার পর চোখ কপালে উঠে যায় আসাদুজ্জামানের।

পরদিন ফার্মেসিতে এসে বোতল দেখাতেই পৌরশহরের ড্রাগ মালিকদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আসাদুজ্জামান জানান, তার তিন বছরের ছেলে আসিফুজ্জামান শ্বাস-কষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হলে তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহফুজুর রহমানের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক ভন্টিসল-এল নামের সিরাপসহ কয়েকটি ওষুধ লিখে দেন। তিনি ওই রাতে মণিরামপুর পৌরশহরের একটি ফার্মেসি থেকে সিরাপসহ ওষুধ কেনেন। বাড়িতে গিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর জন্য সিরাপের প্যাকেট খুলে ঝাঁকি দিতেই তেলাপোকা সদৃশ্য পোকা দেখতে পান। বোতলের মুখটি না খুলেই সাথে সাথে ফার্মেসি মালিককে বিষয়টি অবগত করতে ফোন করেন।

পরদিন বৃহস্পতিবার সিরাপের বোতলটি ফার্মেসিতে নিয়ে আসেন। এ সময় ফার্মেসি মালিক বিষয়টি স্থানীয় ড্রাগ সমিতির নেতৃবৃন্দসহ কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধিদের অবগত করেন।

ফার্মেসি মালিক মাহিনুল ইসলাম মাহিন জানান, এ ধরনের ঘটনা দেখে ড্রাগ সমিতির নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত অনেকেই হতবাক হন। কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধিকে অবহিত করা হলে তিনি সিরাপের বোতলটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের স্থানীয় মেডিকেল প্রমোশন অফিসার আব্দুল মতিন জানান, বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের যশোর জোনাল অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, এই সিরাপটি সারাদেশে ব্যাপক চলে। প্রতি মাসে কয়েক কোটি সিরাপ উৎপাদন হয়। বোতল বাইরে থেকে কেনা হয়। সেখান থেকে এমনটি হতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। তারপরও সংশ্লিষ্ট ম্যানেজমেন্টকে অবহিত করা হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে পুরো বিষয়টি জানা যাবে বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।