যশোরের মণিরামপুরে ১০২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে

যশোরের মণিরামপুর উপজেলা ব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে জোর প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। উপজেলায় মোট ১০২টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোৎসব।

গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) মহালয়ার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে দেবী দুর্গার। ১ অক্টোবর (শনিবার) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

এদিকে দুর্গাপূজা ঘিরে নিরাপত্তার জন্য অনেক মণ্ডপে সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানাগেছে।
জানা গেছে- প্রতিমাশিল্পীরা তাঁদের নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গার অবয়ব। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তাঁরা। এখন শুধু প্রতিমার গায়ে রং করা ও সাজানোর কাজ চলছে।

উপজেলার রাজগঞ্জ বাজার, বাবুপাড়াসহ এলাকার কয়েকটি মন্দিরে য়েয়ে দেখা যায়- বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়, কাদামাটিসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছেন কারিগরেরা। তাঁদের কাজে সহায়তা করছেন কয়েকজন সহযোগী। এখন প্রতিমার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।
মণিরামপুর উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন কুমার শীল বলেন- মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান ছিলো। এবার তা থাকবে না আশা করি।

তিনি আরও জানান, মণিরামপুর পৌর শহরসহ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে এবার ১০২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্গোৎসবের শুরু ও ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।

এদিকে মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে মণিরামপুর থানার পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়জিত থাকবেন বলে জানাগেছে। মণিরামপুর থানা সূত্রে জানাগেছে, এবারের দুর্গাপূজায় মণিরামপুরের সকল পূজা মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পুলিশের টিম। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে আনসার সদস্য সহ ১০ জন ভলান্টিয়ার সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে প্রশাসন, উপজেলা পূজা উদ্‌যাপনের পরিষদের সঙ্গে সভা করেছেন।