যশোরের মনিরামপুরে স্বামী-সন্তান হারিয়ে নির্বাক তহমিনা

৭ বছরের ছেলে সন্তান তাওশিদ সকাল হলেই বায়না ধরে বাবার সাথে পরাটা খেতে হোটেলে যাওয়ার। পুত্রের এই আবদার মিটাতে অন্যান্য দিনের মত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালেও পিতা হাবিবুর রহমানে ছেলে তাওশিদকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ির সামনে মসজিদ পার হতেই হোটেলে পৌছুনোর আগেই দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান পিতা-পুত্রকে চাপা দিলে সেখানেই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে তাদের। মূহুর্তের মধ্যে খবর পৌচ্ছে যায় বাড়িতে। হঠাৎ নির্বাক স্ত্রী তহমিনা খাতুন। স্বামী-সন্তান হারানোর কথা আর যেন মুখে বের হচ্ছে না তার।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মণিরামপুর বেগারিতলা বাজারে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এখানেই শেষ নয়, পিতা পুত্র ছাড়াও আরোও তিনজনের মৃত্যু হয় কাভার্ডভ্যানের চাপায়। কেবলমাত্র ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান হোটেল মালিক আবু তালেব খাঁ।

নিহতরা হলেন- টুনিয়াঘরা গ্রামের হাবিবুর রহমান (৫৫), তার পুত্র তাওশিদ (৭), একই গ্রামের মীর সামছুর রহমান (৬০), তৌহিদুর রহমান (৩৮) এবং জয়পুর গ্রামের জিয়াউর রহমান (৩৮)।

স্বামী আর ছেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে নির্বাক হয়ে পড়েছেন তহমিনা খাতুন। তবে এ অবস্থা বিরাজ করছে টুনিয়াঘরা গ্রামটিতে। সদ্য সকালে টুনিয়াঘরার একই পাড়ার ৪ জনের এমন মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান সকলে।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে টুনিয়াঘরা ঈদগাহ ময়দানে রাত ৮টার সময় ৪জনের এক সাথে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।