রেফারির এক বাজে সিদ্ধান্তের কারণে হেরেছে ক্রোয়েশিয়া

প্রথমে মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। পরেই ইভান পেরিসিচের নিশানাভেদে সমতায় ফিরেছিল ক্রোয়েশিয়া। এরপর পেনাল্টি থেকে আঁতোয়া গ্রিজম্যাসের সফল লক্ষ্যভেদে ফের এগিয়ে যায় ফরাসিরা। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের বড় নিয়ে বিশ্বজয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়েন তারা। আর স্বপ্নভঙ্গের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ের ক্রোয়াটরা।

ক্রোয়েশিয়ার এই আশাভঙ্গের পেছনে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করাকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার, বিশেষজ্ঞ ও সমর্থকরা। এজন্য তারা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন আর্জেন্টনাইন রেফারি নেস্তর পিতানাকে। সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তাকে ধুয়ে দিয়েছেন।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটে আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স। সেই আক্রমণ থেকে ছুটা বল ডি বক্সে লাগে ইভান পেরিসিচের। প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি পিতানা। পরে ফরাসি ফুটবলারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টির নির্দেশ দেন তিনি। সফল স্পট কিকে তা জালে জড়ান আঁতোয়া গ্রিজম্যান। এতে ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ৯৮ চ্যাম্পিয়নরা। এরপর আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। তাদের হারের নেপথ্যে ওই পেনাল্টি থেকে গোল খাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন তারা।

কিংবদন্তি ইংলিশ ফুটবলার অ্যালান শিয়ারার লিখেছেন, সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। ম্যাচও জমে উঠেছিল। ক্রোয়েশিয়ার ভালো খেলছিল। এমন অবস্থায় ভিএআর? তা থেকে আবার পেনাল্টি? না, না, না-সেটি বড্ড হাস্যকর!

পরে বিবিসিকে তিনি বলেন, সেটি ছিল হাস্যকর সিদ্ধান্ত। যা ফাইনালি লড়াইকে প্রভাবিত করেছে। এটি পেনাল্টি ছিল না। স্পট কিক থেকে গোল হজম করেই খেলা থেকে ছিটকে গেছে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়াটদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল রেফারি। সামান্য হাতে বল লাগা নিয়ে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তার দরকার ছিল। এটি গুরুতর কোনো অপরাধ ছিল না।

বিবিসির ক্রীড়া সাংবাদিক ক্রিস সুটোন লেখেন, সিদ্ধান্তটি অট্টহাসির…এটি পেনাল্টি ছিল না। ডি বক্সে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কারো হাতে বল লাগতেই পারে!

ফুটবল বিশ্লেষক পিয়েরে ভ্যান হুইজডঙ্ক লেখেন, এটা ফিফার জন্য কলঙ্ক। ভিএআরের সুবিধা নিয়েই বিশ্বকাপ জিতেছে ফ্রান্স। ক্রোয়েশিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সব দায় রেফারিকে নিতে হবে।