রেস্টুরেন্টের পচা খাবার ম্যানেজারকেই খাওয়ালেন ক্রেতারা

এবার রেস্টুরেন্ট ম্যানেজারকে পচা খাবার খাওয়ালেন ক্রেতারা। ইফতারের প্লেটে দুদিনের বাসি খাবার পরিবেশনে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন ধানমন্ডির ‘সাব্রোসো’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে।

ঘটনাটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কেউ কেউ বলেছেন, রেস্টুরেন্টের এমন অনৈতিক বাণিজ্যিক মনোভাবের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। আবার কেউ কেউ বাহবা দিয়েছেন ক্রেতাদের, যারা পচা খাবার খেতে বাধ্য করেছেন ম্যানেজারকে।

শুক্রবার (১ জুন) ধানমন্ডির ‘সাব্রোসো’ রেস্টুরেন্টের এই কাণ্ড এখন ফেসুবকে হট টকে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালায়। ওই সময় রেস্টুরেন্টের রান্না ঘরে নোংরা পরিবেশ থাকায় তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু তারপরও সাব্রোসোর এই আচরণে বিস্মিত হয়েছেন ক্রেতারা। একদিন আগে জরিমানায় দণ্ডিত প্রতিষ্ঠান কী এমন উদাসিনতা দেখাতে পারে, এই প্রশ্ন সামনে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারের সঙ্গে ক্রেতারা তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। ইফতারে পচা খাবার পরিবেশন করায় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে তা পাল্টে দিতে বলেন কয়েকজন ক্রেতা। পাল্টে দেয়া খাবারও পচা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ওই ক্রেতাদের কয়েকজন। পরে ওই রেস্টুরেন্ট ম্যানেজারকে সে খাবার খেতে বাধ্য করেন তারা।

সাব্রোসোর ম্যানেজার আশিকুর রহমান অবশ্য দাবি করেছেন, ঘটনাটি ভিডিওতে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আসলে তা এত বড় নয়।

তিনি জানান, শুক্রবার ইফতারের সময় পাঁচ থেকে ছয়জন ক্রেতাকে ভুলবশত বাসি মাংস দেয়া হয়েছে। বাবুর্চি ও ম্যানেজার নিজে রোজা থাকার কারণে খাবার আগে থেকে চেখে দেখতে পারেননি।

রেস্টুরেন্টের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সেদিন আমাদের বাবুর্চি রোজা ছিল, আমি নিজেও রোজা ছিলাম। তাই আমরা খাবারটা চেক করতে পারিনি। আর পাঁচ থেকে ছয়জন গেস্টের প্লেটে বাসী খাবার গিয়েছে। সবার কাছে যায়নি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ক্রেতাদের মধ্য থেকে একজন বিষয়টি বড় করে তোলার চেষ্টা করছেন। বলেন, ‘তখন ১৪০ জনের মত ক্রেতা ছিল। তাদের মধ্যে থেকে ইয়াং কয়েকজন এ বিষয়টিকে বড় করে তুলছে। একজন ছিলেন, সম্ভবত তার নাম অন্তু। তিনি ভিডিও করে এটিকে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন।’

‘১৪০ জন ক্রেতার মধ্যে মাত্র ত্রিশ জন ওইদিন খাবারের মূল্য পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু বাকিরা খাবারের মূল্য পরিশোধ না করেই চলে যান।’