সপ্তম দিনেও ধর্মঘাট অব্যাহত শ্রমিকদের, চা-শিল্পে ক্ষতি

৭ম দিনেও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট করছেন চা শ্রমিকরা। ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত বাংলাদেশের ১৬৭ চা বাগানসহ ছোট বড় ২৩১টি চা বাগানের নিয়মিত ৬০ হাজার চা শ্রমিক ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে ৭ দিন ধরে এ ধর্মঘট করে আসছেন।

মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউসে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় আজ বুধবার ঢাকার মহাখালি বাংলাদেশ চা সংসদের (বিসিএস) অফিসে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার করিম পুর চা বাগানে গেলে শ্রমিকরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্পের বড় ক্ষতি হবে।

বাংলাদেশের ৭টি চা বাগান ভ্যালির অন্যতম মৌলভীবাজার লংলা ভ্যালীর সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন কোটি টাকার চা পাতা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত।

রাজনগর উপজেলার চান ভাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ৭ দিনের কর্মবিরতিতে শ্রমিকরা কষ্টে আছে। তাদের সাপ্তাহিক মজুরি ও রেশন বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার কেজি চা পাতা উত্তোলন বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত। বিষয়টি সমাধান হলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে।

শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী বলেন, শ্রমিক মালিক আমরা তিন পক্ষ মিলেই বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে বার বার বৈঠক করবো।